এরপর বাংলাদেশ সফর করে গেছে জিম্বাবুয়ে। বিপিএলে খেলে গেছেন ৬৫ জন বিদেশি খেলোয়াড়। টুর্নামেন্টে কোচ-ফিজিও-ট্রেনার ছিলেন আরও ৬ বিদেশি।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেমস সাদারল্যান্ড জানান, অস্ট্রেলিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া নিরাপত্তা শঙ্কায় নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেও চলতি মাসে শুরু হতে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জায়গায় খেলার জন্য আয়ারল্যান্ডকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
বিসিবির গণমাধ্যম ও যোগাযোগ কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, আইসিসির চাওয়া অনুযায়ী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এখন কোনো একটি দল যদি না আসে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।
আগামী ২৭ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া ১৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হওয়ার কথা ৪৮টি। ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট ও কক্সবাজারের আটটি ভেন্যুতে হবে খেলা।
প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে এই দুই দলের সঙ্গী স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া।
‘বি’ গ্রুপে খেলবে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, কানাডা ও ২০০৪ ও ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। ‘সি’ গ্রুপে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সঙ্গী ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে ও ফিজি।
তিন বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ছিল ‘ডি’ গ্রুপে। ওই গ্রুপে আছে তিন বার শিরোপা জয়ী আরেক দল ভারত, নিউ জিল্যান্ড ও নেপাল।
কয়েক দিন আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা প্রধান শন ক্যারল বাংলাদেশ সফরে এসে সরকার ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অস্ট্রেলিয়া সরকারের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নিল সিএ।
সাদারল্যান্ড এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সব সময়ই বলে এসেছি যে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়।”
সিইও জানান, অস্ট্রেলিয়া সরকার মনে করে, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখনও উচ্চ ঝুঁকি রয়ে গেছে, যেমনটা ছিল টেস্ট দলের সফর স্থগিত করার সময়।