জাবি’র সিনেট নির্বাচনে এগিয়ে শাফিন

জাবি প্রতিনিধি : আগামী ৩০ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে । আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের পদচারণা আর প্রচার-প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে গোটা ক্যাম্পাস। সময়ের সাথে সাথে বাড়ছে প্রচারণাও।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই কারও। এবারের নির্বাচনে তরুণ প্রার্থীদের প্রতি ভোটারদের বিশেষ নজর থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিন প্যানেল ও ৪৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ১১৯ জন প্রার্থীর মধ্যে বড় একটি অংশ তরুণ। ভোটারদের সংখ্যা বিবেচনায়ও এগিয়ে তরুণরা। ভোটারদের একটি বড় অংশের মধ্যে এখন আলোচনার বিষয় তরুণ প্রার্থী মো: রাশেদুল ইসলাম শাফিন (ব্যালট নং ৫৭)।
তিনি ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’ প্যানেল থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। গণিত বিভাগের ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাফিন। ছাত্রবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির কারণে শাফিন এখন আলোচিত মুখ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। দল-মত নির্বিশেষে সব মহলে তার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অধিকারের জন্য রাজনীতি-সংগ্রাম করেছি। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থী জন্য কাজ করার সুযোগ পাবো।এ সময় সেশনজট নিরসন, জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়া সহ বেশ কয়েকটি প্রতিশ্রতি তুলে ধরেন তিনি। এছাড়া সিনেটে থাকাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার চেষ্টা করবেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমার প্যানেল জয়ী হলে ৩ বছর পরে যথাসময়ে সিনেট নির্বাচন দেয়া হবে। তখন আমরা সিনেট নির্বাচন দিতে অসমর্থ হলে পদত্যাগ করব।’
প্রসঙ্গত,’বিশ্ববিদ্যালয় অ্যধাদেশ-১৯৭৩’-এর ১৯ (১) (আই) ধারা অনুযায়ী সিনেটে ২৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন তিন বছর পরপর হওয়ার কথা। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৮ সালে অনুষ্ঠিত হলেও নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন এ নির্বাচন বন্ধ ছিল।
অবশেষে দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবারের নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে বিএনপিপন্থী গ্রাজুয়েটরা ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্যানেল’ এবং আওয়ামীপন্থী গ্রাজুয়েটরা বিভক্ত হয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল জোট’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রগতিশীল রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট মঞ্চ’ প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন।
Print Friendly, PDF & Email

Related Posts