লেখার বিষয়টি শুরু হয় একেবারে ভেতরের তাগিদে। লেখক নিজেও নিজের লেখা পড়ে আনন্দ পান, পাঠক বৃদ্ধির সঙ্গে এ আনন্দ বাড়তে থাকতে। আর কড়ি প্রাপ্তির বিষয় এ আনন্দ আরো বাড়িয়ে দেয়। প্রাপ্তির এই আনন্দ থেকেই অনেকেরই এক সময়ে হয়ে যান পেশাদার লেখক।
ভেতরের তাগিদে আমার লেখার অভ্যাসের সঙ্গে কড়ি প্রাপ্তি কবে শুরু হয়েছে তা এখন মনে করা কঠিন। তবে অনেক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ৭৫ টাকা পাবার বিষয়টি এখনও মনে আছে।
বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থার শিল্প দর্পন নামে একটি মাসিক প্রকাশনা ছিলো। বীমার গুরুত্ব নিয়ে আমার একটি লেখা ১৯৮৪ সালের ছাপা হয় শিল্প দর্পন-এ। এ জন্য বিল করা হয় ৭৫ টাকা। এই টাকা সংগ্রহের জন্য প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয়, তারিখ ১৬.০৬.১৯৮৪। তখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং সাপ্তাহিক জনকথায় কাজ করি। রিপোর্ট করার সূত্রেই ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থায় যাওয়া।
এখন পর্যন্ত সর্বশেষ চেক সংগ্রহ করেছি ২১ জানুয়ারী দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর। ১৫শ’ টাকার চেকটি ১৩/০৯/২০১৫ তারিখে স্বাক্ষরিত।
৩২ বছরে টাকার অংকে ২০ গুণ বাড়লেও ক্রয় ক্ষমতার দিক থেকে সেকাল এবং এ কালের লেখক সম্মানীর পার্থক্য কতটুকু?
৩২ বছরে টাকার অংকে ২০ গুণ বাড়লেও ক্রয় ক্ষমতার দিক থেকে সেকাল এবং এ কালের লেখক সম্মানীর পার্থক্য কতটুকু?
আলম রায়হান ॥ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাই টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক