অয়ন শাহ পরান, প্যারিস >> আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে প্যারিসে ‘ফ্রেঞ্চ-বাংলা স্কুল’এর উদ্যোগে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উদযাপিত হয়েছে। গত ৬ মে রবিবার প্যারিসের লাকুরনভে ফ্রেঞ্চ বাংলা স্কুল সংলগ্ন পার্কে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ কে বরণ করে নেয়া হয়। শোভাযাত্রায় স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক শিক্ষিকা, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ও স্থানীয় প্রবাসী বাঙালিরা অংশগ্রহন করেন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ও বাংলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জামিরুল ইসলাম মিয়া।
এছাড়াও বক্তব্য দেন ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব দয়াময়ী চক্রবর্তী এবং লাকুরনভ মেরীর ভী এসোসিয়েটিবের প্রধান Monsieur Vincent Kulesza প্রমুখ।
‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’- বৈশাখী সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি তুলে ধরে ফ্রেঞ্চ বাংলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি মনোমুগ্ধকর নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন । প্যারিসের জনপ্রিয় নৃত্যশিল্পী শরীফুল ইসলামের নৃত্য পরিবেশনাও সবাইকে মুগ্ধ করে।
এছাড়াও অভিভাবক বাবু তপন কুমার দাস, বলরাম রাজ ,পুস্পিতা নন্দী এবং অতিথি শিল্পী ইমতিয়াজ রনি,আতাউর খন্দকার বেণু ও নাজনীন খন্দকার মুন্নী প্রমুখের পরিবেশনা সবাইকে মাতিয়ে তোলে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন সন্জীব দাস।
শেষ পর্বে শিশু, কিশোর,অভিভাবক ও অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। বিনোদনের সুযোগ পেয়ে বৈশাখী উৎসবে আসা শিশুরা ছিল দারুণ উৎফুল্ল। এসব শিশুদের অভিভাবকরা উপভোগ করেছেন এবারের বৈশাখী উৎসব ১৪২৫। খেলার প্রতিযোগীতার সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও ফয়সাল আহমেদ দ্বীপ।
স্কুল প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে একটি স্টল। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুরুতে অতিথিদের বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পিঠা , কদমা, বাতাসা, জিলাপি, গজা, পেঁয়াজু ও ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া মধ্যাহ্ন ভোজে অতিথিদের ভাত-ইলিশ মাছ,মাংস সহ হরেক পদের ভর্তা ও অন্যান্য দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
মঞ্চসজ্জা, আপ্যায়ন, অভ্যর্থনা ও অন্যান্য দায়িত্বে ছিলেন সায়েদা আক্তার, আমেনা খাতুন, বীর মুক্তি্যোদ্ধা আব্দুল মতিন, আমিন খান হাজারী, আনোয়ারুল হক, আলী হোসেন, সাইফুল ইসলাম রনি, সোহাগ সারোয়ার, রবিউল ইসলাম শামীম, বিকাশ চন্দ্র সরকার , আল মাহমুদ, বলরাম রাজ, মিঠু নন্দী, তপন কুমার দাস, ইয়াছিন হক, প্রশান্ত পাল, অভিজিৎ ঘোষ, শরীফ লিটু, দ্বীপক ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সবশেষে দিনব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অয়ন শাহ পরান।