এক.
হতাশ হয়োনা, কমোডের ফ্লাশের জলে ঢেলে দাও
তোমার নোনাজলের ক্ষুদ্র সম্ভার। ওই জলের ঢলেই
মুহূর্তে বিলীণ হয়ে যাও, হয়তো সেখানেও
পেতে পারো বড় কোনো পরিতৃপ্তির আধার।
মনে রেখো, তোমার ক্ষুদ্র সামর্থ্য বড়ত্বে বিলীন হলে
থাকবে নাতো সে ক্ষুদ্র তুমিও আর-
ফোটা ফোটা জল মিলেই তো মহাসমুদ্র কিংবা
টুকরো টুকরো পাথর মিলেই তো বিশাল পাহাড়।
দুই.
শহরে থাকবে আর ঠান্ডা মেশিন উপভোগ করবে না
মোটেও হয় কি তা, তবে তো ভাল সে গ্রামেরই শীতল ছায়া।
চারদিকে এতো ফুল চোখ ধাধানো, এতো মদিরার ছড়াছড়ি-
যদি না ছুঁয়েই দ্যাখো এই রূপরসে মাতানো মাতাল বিভাবরী
তবে ফিরেই যাও লতায়পাতায় ছাওয়া সেই সবুজ গায়ে
যেখানে ক্ষুধাপেটেও সুখের ছড়াছড়ি জড়িয়ে পায়ে পায়ে।
সচ্ছ যার জল সরোবর, যেখানে আকাশ ধোঁয়ায় ধূসর নয়,
যেখানে জীবন হয় জীবনেই বিলীণ- সবকিছুই সত্য হিরন্ময়।
২৮ আগস্ট ২০১৮