পোড়ামাটি…
আজ রক্ত মাখা চাঁদে গ্রহণ লেগেছে।
নীলাভ পূর্ণিমার জোৎস্নায়,
ঘোর অমাবস্যার পূণ্য তিথী।
হোলি ছুঁয়েছে শ্মশান-গোরস্থানে।
পোড়ামাটির প্রতিকৃতিতে বিষাদের,
লেলিহান নীল শিখা জ্বলে।
লন্ডভন্ড হয়ে যাচ্ছে মনের খেয়াল,
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাগুলো।
অচেনা শহরের রাস্তায় হেটে চলি,
টের পাই অভিমানের সুর গান বাঁধছে মনে।
শ্রাবনের অবিরাম ধারায় ভিজে চলি,
গ্রহনের অশুভ ছায়া ধুয়ে যায়।
দিগন্তের আলো জানান দেয় বিসর্জনের,
তোমাকে ছাড়া আজ,
আকাশের মতো আমি বড় একা…
নিখাদ রক্তিম পৃথিবীটার
সামনে দাঁড়িয়ে,
আজ আর ডেকো না বন্ধু,
সুখটান নেই আর।
মুঠো ভরে গেছে ঋনে,
টোকা দিলে ঝরে যাব,
হারিয়ে যাব অতল গহীনে।
লিখব বলে লেখা হয়নি,
খাঁ খাঁ দুপুর নির্জনতায়
পড়া হবে না চিঠিখানি।
আজ আর কেঁদো না বন্ধু,
আজ আর নেই, এই আমি…
জঞ্জাল…
যাবার সময় বলে যাওনি কখনও
আজ কেন অনুমোদন?
ভেবেছ এই সময়ে,
তোমার চুলের গন্ধ পাইনা,
অনুভুতিগুলি বুঝতে পারিনা,
চার দেয়ালের এই ঘরে,
থেকেও অনেক পর।
সাদা কালো রঙ চিনে নেবার,
বড়ই আকাল আজ।
দুঃখ কেড়ে নিতে গিয়ে
ভুল ঠিকানায় দিয়ে ফেলি চিঠি।
এখনো পুরনো অভ্যাসে হাত ধরি,
গায়ের গন্ধ শুঁকি সুযোগ পেলে; তোমার।
তুমি রাতের জোৎস্না গায়ে মাখো,
তবুও পুরনো নক্ষত্রে ঘুন ধরে
ম্লান হয়ে যায় আলো।
শুভক্ষনে ডাক পড়ে,অভ্যাস বদলের
হাত ছেড়ে দেবার….