মেট্রো নিউজ : গত ১৮ অক্টোবর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাউবো ও ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরামের এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক।
পাউবোর ডিজি ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরামের পক্ষে অতিরিক্ত সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, পিডিবি সচিব মোঃ জহুরুল হক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু, ভোলা সমিতির সভাপতি বুয়েট অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজীব মীর, পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, ডেভেলমেন্ট ফোরামের সভাপতি লায়ন আবুল কাশেম এমজেএফ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম, প্রজন্ম একাডেমির সভাপতি লেখক কালাম ফয়েজী, ঢাকাস্থ ভোলার নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুর রহমান, লালমোহন ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, বিডিএফ এর ঢাকা অঞ্চলের অর্থ সম্পাদক পলাশ প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ বেলায়েত হোসেন, সাবেক সদস্য মোঃ মহসিন, ওরিও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মকবুল হোসেন, ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ১০ মেয়াদী একটি মাষ্টার প্লানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠন গুলোর ওতপ্রোত অংশগ্রহণ কামনা করেন।
ভোলা ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম ভোলা রক্ষা কল্পে সংগঠনের পক্ষে দাবিসমূহ উত্থাপন করেন এবং বিডিএফ এর অতীত সাফল্যের সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেন।
অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান বলেন-জ্বালানি ও সমুদ্্র সংযোগের জন্য ভোলা অচিরেই একটি “ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে” পরিণত হচ্ছে। সুতরাং এর ভাঙন প্রতিরোধ কল্পে এখানে তিস্তা ব্যারেজের মত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন। একে উন্নয়ন বাজেট তথা পরদেশ নির্ভর বাজেটের আওতায় না রেখে অপরিহার্য রেভেনিউ বাজেটের অন্তর্র্ভূক্ত করতে হবে।
জহুরুল হক বলেন-যার নিজের বাড়ি ভেঙেছে সে ভিখারী হয়ে গেছে। তার অন্তরে কত ব্যথা অন্য কেউ বুঝবে না।
অধ্যাপক রাজীব মীর জানতে চান, ইলিশাঘাট রক্ষাসহ আকস্মিক সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের আদৌ বাজেট আছে কিনা। কেন ভোলা ফেরিঘাট পুনঃনির্মাণে এত সময় লাগল।
বুয়েটের অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী ওরিও ফান্ডের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চান।
উত্তরে ওরিও প্রকল্প পরিচালক মোঃ মকবুল হোসেন ওরিও-র গড়িমসির কথা উল্লেখ করেন। এপর্যন্ত ওরিও ফান্ড সংগ্রহের জন্য কি কি করা হয়েছে পাউবোর পক্ষে তাও উল্লেখ করেন।
ইঞ্জিনিয়ার হেকিম জানান ভোলার মেঘনা সাইডের ২৬ কিলোমিটার তাদের প্লানের আওতায় আছে। তার জন্য তিন স্তরে ব্লক ফেলার জন্য ১৬শ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বেলায়েত হোসেন তাদের ইচ্ছা ও সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন- বেশিরভাগ পরিকল্পনা নেয়া হয় রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। পাউবোর নিজস্ব কোন প্লান বা আইডিয়া পেছোনেই পরে থাকে।
মহাপরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন- আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্লান দাখিল করতে পারি। কিন্তু প্লানিং কমিশন গুরুত্ব না দিলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আপনারা পাউবোর সাথে সংযোগ রাখার পাশাপাশি পরিকল্পনা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করুন। আর সবসময় যদি বিডিএফ লেগে থাকে ভোলা রক্ষা অবশ্যই একদিন সম্ভব হবে।