বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ইংল্যান্ডের মাটিতে গৌরবের নতুন ইতিহাস রচনা করল বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে যেখানে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ১৫০ রানের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেনি, সেখানে নিজেদেরই রেকর্ড ভেঙে ৩৩১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখে ২১ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশ। এই অসাধারণ জয়ের কারণ কী?
রবিবার টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায়। শুরুতে সৌম্য সরকার দ্রুত ৪২ রান করে ইনিংসে গতি এনে দেন।
শাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম ১৪২ রানের পার্টনারশিপ করেন। এরকম পার্টনারশিপের পর এ বারের বিশ্বকাপ জমে উঠেছে বলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।দুই সিনিয়র ক্রিকেটার বাংলাদেশকে শক্ত ভিতের উপরে দাঁড় করিয়ে দেন। এই কারণেই আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে যায় ‘বাংলার বাঘ’-দের।
শাকিব ৮৪ বলে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। মুশফিকুর ৮০ বলে ৭৮ রান করেন।
দুই ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার পরে বাংলাদেশের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যান মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক। মাহমুদুল্লাহ ৩৩ বলে ৪৬ রান করে অপরাজিত থেকে যান। মোসাদ্দেক ২০ বলে ২৬ রান করায় বাংলাদেশ শেষ করে ৩৩০ রানে। ২১ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন মিঠুন।
একেবারে ঠিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার এডেন মারক্রামের উইকেট তুলে নেন ম্যাচের নায়কও শাকিব। এ দিনই ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্রুততম (১৯৯ ম্যাচ) পাঁচ হাজার রান ও আড়াইশো উইকেট দখল করলেন তিনি।
টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ফ্যাফ ডুপ্লেসি। কিন্তু রাবাডা-তাহিরদের ব্যর্থতায় ভুগতে হয়েছে দলকে। এনগিডির চোটও ডু’প্লেসির পরিকল্পনা এলোমেলো করে দিয়েছে।
শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের উপরে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাতে শুরু করেন বাংলাদেশের ওপেনার সৌম্য সরকার (৩০ বলে ৪২ রান)। ফলে তামিমের ব্যর্থতা (২৯ বলে ১৬ রান) তেমন ভাবে চোখে পড়েনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা সে অর্থে এ দিন সফল হতে পারলেন না। পঞ্চম ওভারে লুঙ্গি এনগিডির বলে দু’বার পুল করে চার মেরে শুরুটা করেন সৌম্য। মনোবল ভেঙে যায় সেখানেই।
কাগিসো রাবাডাদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের তারকারা।শেষ দিকে মহম্মদ মিঠুনও ২১ বলে ২১ রান করেন।
কুইন্টন ডি’কক (২৩) ও এডেন মারক্রাম (৪৫) শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু শাকিব ও মুস্তাফিজুরদের সামনে স্থায়ী হতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ।
ফাফ ডু’ প্লেসি (৬২) ও জে পি ডুমিনিরাও (৪৫) ম্যাচ বের করে আনার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু মেহেদী হাসান-সহ বাংলাদেশের বোলাররা যথেষ্ট নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন, তাই আফ্রিকার সিংহের গর্জন ম্লান হয়েছে বাংলার বাঘদের কাছে।