বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে গেলেও আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঠিকই তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। মাত্র ৯৫ বলে ১০০ রান করেন বাঁহাতি এই টাইগার।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সাকিব এখন বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার পরেই আছেন মুশফিক। সাকিবের রান এখন পর্যন্ত ৭৮১।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। সে ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশ জয় পায় ২১ রানে।
দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। তার ব্যাটিংয়ের কারণে কিউইদের সম্মানজনক স্কোরের টার্গেট দিতে পারে বাংলাদেশ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে বাংলাদেশ হারে দুই উইকেটে।
অন্যদিকে জয়সুরিয়া যেখানে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখানেই শুরু সাকিব আল হাসানের। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপটি ছিল জয়সুরিয়ার শেষ বিশ্বকাপ আর সেই আসরেই সাকিব আল হাসানের উত্থান। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে টানা পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেন জয়সুরিয়া। ৩৮ ম্যাচে করেন ১১৬৫ রান আর আপাগ নিরীহ অফ স্পিনে নেন ২৭ উইকেট।
২০০৭ সাল থেকে এখন পর্যন্তক চারটি বিশ্বকাপ খেলছেন সাকিব। ২৪ ম্যাচে করেছেন ৭৮৪ রান। আর বল হাতে নিয়েছেন ২৬ উইকেট। নিশ্চিতভাবেই আরেকটি বিশ্বকাপ খেলবেন সাকিব। ব্যাটে বলে জয়সুরিয়াকে ছাড়িয়ে যাওয়াটা সাকিবের এখন কেবল সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বকাপে ৭৫০ রান ও ২৫ উইকেট নেওয়া তৃতীয় অলরাউন্ডার হলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের সামনে রয়েছেন জয়সুরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার স্টিভ ওয়াহ। ৩৩ ম্যাচে ৯৭৮ রান ও ২৭ উইকেট নেন ওয়াহ।
এবারের বিশ্বকাপে খাপখোলা তলোয়ার হয়ে উঠেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট। সেঞ্চুরিসহ প্রথম তিন ম্যাচেই পঞ্চাশোর্ধ রানের ইনিংস রয়েছে টাইগার অলরাউন্ডারের। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৭৫ রান ও বল হাতে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন সাকিব। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬২ রান করার পাশাপশি নেন দুটি উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক। বলাই বাহুল্য, জয়সুরিয়ার মতো ৩৮ বা তার বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে চলে যাবেন সাকিব।