বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার মেসুত ওজিলের বিয়েতে সাক্ষী হলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। গত শুক্রবার তুরস্কের ঐতিহাসিক নগরী ইস্তাম্বুলে বসফরাসের তীরে একটি বিলাসবহুল হোটেলে এই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।
তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক মেসুত ওজিল গত বছর বর্ণবাদের অভিযোগ এনে জার্মানির জাতীয় ফুটবল দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ত্রিশ বছর বয়সী ওজিল বিয়ে করেছেন সাবেক মিস তুর্কি আমিন গুলসকে। কয়েক বছরের পরিচয়ের পর ২০১৭ সালে তাদের বাগদান সম্পন্ন হয়। ওজিল বর্তমানে খেলছেন ইংলিশ ক্লাব আর্সেনাল এফসির হয়ে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় মঞ্চে বর কনের সাথে উপস্থিত রজব তাইয়েব এরদোগান ও ফাস্টলেডি তার স্ত্রী আমিনা এরদোগান। বিয়েতে সাক্ষী হয়েছেন এরদোগান। নবদম্পতির সাথে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্টলেডির হাস্যোজ্বল ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এদিকে বিয়ের আগে মেসুত ওজিল তার আমন্ত্রিত অতিথিদের প্রতি আহবান জানিয়েছে, বিয়েতে তারা যদি কোন উপহার দিতে চান সেগুলো যেন দরিদ্র শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন কোন প্রতিষ্ঠানে দান করেন। এছাড়া বিয়ে উপলক্ষে ওজিল ও আমিনা গুলস দম্পতি তুর্কি রেড ক্রিসেন্টে বড় অঙ্কের অর্থ দান করেন।
গত বছর ফুটবল বিশ্বকাপের আগে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে দেখা হলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে জার্সি উপহার দেন ওজিল। ওই ঘটনার পর জার্মানিতে ব্যাপক সমালোচনা হয় ওজিলের। জার্মানির সাথে অনেকদিন ধরেই এরদোগান সরকারের কূটনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে। যে কারণে জার্মানিতে ওজিলকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এরপর বিশ্বকাপে জার্মানি প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়ার পর ওজিলের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেন জার্মান কর্মকর্তারা। যেন বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার সব দোষ তার! এর প্রতিবাদে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেন ওজিল।
এরদোগানের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে ওজিল সব সময়ই বলে আসছেন, আমার পিতৃভূমি তুরস্ক। তাই দেশটির প্রতি আমার বিশেষ দুর্বলতা রয়েছে। সেই থেকেই তুর্কি প্রেসিডেন্টকে জার্সি উপহার দিয়েছিলাম।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ।