বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আগামী অর্থবছরের (২০১৯-২০২০) প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্য দেশে উৎপাদিত হয়, সেসব পণ্যের কারখানাকে উৎসাহ দিতে আমদানি করা পণ্যের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
যেসব পণ্যের দাম বাড়বে
বাজেটে শুল্কহার পরিবর্তনে স্মার্টফোন, সিমকার্ড, আমদানিকৃত এয়ার কন্ডিশনার, মোটরসাইকেল, আমদানিকৃত টায়ার, টিউব আমদানিকৃত জুতা, আমদানিকৃত গুঁড়ো দুধ, চিনি, মধু, কর্ন স্টার্চ ও আইসক্রিমের দাম বাড়বে।
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিক্ষর ও ধূমপান বিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির কারণে তামাক ও তামাকজাত পণ্য সিগারেট, জর্দা-গুলের উপর নতুন করে সম্পূক শুল্ক প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও অপটিক্যাল ফাইবারের উপর শুল্ক আরোপ করায় তার দাম বাড়তে পারে।
দাম কমবে যেসব পণ্যের
২০১৯-২০ অর্থবছরে বেশ কয়েকটি সেবাখাতের উপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। যার ফলে এখন থেকে এসব পণ্য বা সেবা গ্রহণে আগের তুলনায় ব্যয় কমবে।
বাজেটে পাউরুটি ও বনরুটি সহ হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেকের উপর প্রতি কেজি ১৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে কৃষি যন্ত্রপাতি ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতির উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। এবারের বাজেটে নারী উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত ব্যবসায়িক শো-রুমের উপরও ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাজেটে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এবারে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ এর অধীনে নিমাণ সংস্থা, উপদেষ্টা সংস্থা ও পরিদর্শন ফার্ম, যোগানদার ও আইনী পরামর্শক সেবার উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে রুপপূর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স, ক্লিায়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং সংস্থা, বীমা কোম্পানী, যোগানদার ও ব্যাংকিং সেবার উপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।