বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অসুস্থতার কারণে অর্থমন্ত্রীর বক্তৃতা পড়তে সমস্যা হচ্ছিল। এর একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বক্তব্য পড়ে দেওয়ার অনুমতি নিয়ে তা পড়া শুরু করেন।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় শুরু হয় জাতীয় সংসদের বৈঠক। কার্যসূচি অনুযায়ী, আজ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের ধার্য দিন। বাজেট উপস্থাপনের আগে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাসভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর সাড়ে তিনটার দিকে তিনি বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। অসুস্থতার কারণে শুরুতেই অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল স্পিকারের কাছে কিছু সময় বসে, কিছু সময় দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা দেওয়ার অনুমতি নেন। তবে শুরু থেকেই তাঁকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।
এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিট বক্তৃতা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পিকারের উদ্দেশে বলেন, অর্থমন্ত্রী অসুস্থ। স্পিকার অনুমতি দিলে তিনি অর্থমন্ত্রীর পক্ষে বাজেট বক্তৃতা পড়ে দিতে চান। তখন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা পড়ে দিতে পারেন এবং তিনি চাইলে বসেই বক্তৃতা পড়তে পারেন।
বাজেট বক্তৃতার একপর্যায়ে আসে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখার বিষয়। বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই স্মিত হাসতে থাকেন এবং বলেন, মাননীয় স্পিকার আমি কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য পড়ে দিচ্ছি। তখন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বক্তৃতার যত জায়গায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে, সব জায়গা যেন প্রধানমন্ত্রী পড়েন।