আফগান বোলিং তোপে ভারতের একি হাল!

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের বিপক্ষেই রান তুলতে হিমশিম খেতে হয়েছে বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতকে। নিজেদের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দাবি করা দলটি আফগানদের বিপক্ষে ২২৪ রানেই ইনিংস সমাপ্ত করে।

বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাটিং করেছিল ভারত। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২২৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬ উইকেটের দাপুটে জয় পায় ভারত। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী এবং বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বোলারদের শাসিয়ে ৫ উইকেটে ৩৫২ রান করেছিল ভারত। সেই ম্যাচে ৩৬ রানে জয় পায় কোহলিরা।

নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান করে ৮৯ রানের বিশাল জয় পায় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা,অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একক আধিপত্য বিস্তার করে জয় পাওয়া ভারত শনিবার দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে খেই হারিয়ে ফেলে। আফগানিস্তানের বোলারদের তুরুপের তাসে পরিণত হয় ১৯৮৩ ও ২০১১ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

শনিবার ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। দলীয় ৭ রানে ইনিংসের পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে আফগান স্পিনার মুজিবুর রহমানের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা।

 এরপর বিরাট কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন অন্য ওপেনার লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৫৭ রানের জুটি গড়েন। ৫৩ বলে মাত্র ৩০ রান করে মোহাম্মদ নবীর স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সাজঘরে ফেরেন রাহুল।

তৃতীয় উইকেটে বিজয় শঙ্করকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি। ৪১ বলে ২৯ রান করতেই রহমত শাহের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন বিজয় শঙ্কর।

এরপর সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় ভারত। ৬৩ বলে ৬৭ রান করা বিরাট কোহলিকে সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ নবী। পঞ্চম উইকেটে কেদার যাদবকে সঙ্গে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি গড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি।

টেস্টের আদলে ব্যাটিং করে যাওয়া ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ধোনিকে সাজঘরে ফেরান রশিদ খান। তার আগে ৫২ বলে মাত্র ২৮ রান করার সুযোগ পান ধোনি।

ব্যাটসম্যানদের এই যাওয়া-আসার মিছিলে শেষ দিকে একাই লড়াই করে যান কেদার যাদব। তার ৬৮ বলের ৫২ রানে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ২২৪ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত। আফগানিস্তানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবী ও গুলবাদিন নাইব।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts