রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে মোঃ শাহাবুদ্দিন (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
৫দিন পর মোবাইল ট্র্যাকিং করে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং অপহরন কারী শাহবুদ্দিনকে আটক করেছে ধামরাই থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় ধামরাই থানায় মেয়ের মা বাদী হয়ে একটি মামলার দায়ের করেছেন।
সোমবার (১জুলাই) দিনগত রাত ১২ ঘটিকার সময় ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী এলাকার শাহাবুদ্দিনের নিজ বাড়ী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং শাহাবুদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
শাহাবুদ্দিন ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার চান্দুনি গ্রামের মোঃ অতিয়ার মোল্লার ছেলে। সে ধামরাই পৌর-শহরের ৭ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিংয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করত।
পুলিশ জানায়, গত ২৬/০৬/১৯ ইং তারিখে ধামরাই থেকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে মোঃ শাহাবুদ্দিন মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মেয়ের মা-বাবা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ধামরাই থানায় একটি জিডি করেন। পুলিশ সেই জিডির কপি নিয়ে সোমবার দিনে শাহাবুদ্দিনের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে বুঝতে পারে মেয়েটিকে নিয়ে মিরপুর ২নম্বরে আছে। কিন্তু পুলিশের তৎপরতা টের পেয়ে তারা সেখান থেকে সরে গিয়ে সোজা ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী নিজ এলাকায় অবস্থান করে। পরে পুলিশ আবার মোবাইল ট্র্যাকিং করে জানতে পারে বোয়ালমারী চন্দুনি গ্রামে অবস্থান করছে। এর পর রাত ১২ ঘটিকার সময় বোয়ালমারী চান্দুনি গ্রামে গিয়ে শাহাবুদ্দিনের নিজ বাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে
এবং শাহাবুদ্দিনকে আটক করে ধামরাই থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালে মেয়ের মা বাদী হয়ে একটি অপহরন ও ধর্ষণ মামলা দয়ের করে। মেয়ের মা ধামরাই পৌর-সভার পাঠানটোলা মহল্লার উজ্জলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
এই ব্যাপারে মেয়ের মা মোসাঃ জরিনা বেগম বলেন, আমরা খুবই গরিব মানুষ আমি ধামরাই হার্ডিঞ্জ স্কুলের দক্ষিণ পাশে রাস্তার পারে বসে পিঠা বিক্রি করে কোন রকমে দিন চলে। আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী লোক সে হোইল চেয়ারে করে চলা ফেরা করে। এই সুযোগে আমার মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে বাড়ী থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় শাহাবুদ্দিন। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এই ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, আমরা জিডির সূত্র ধরে মোবাইল ট্র্যাকিং করে বোয়ালমারী চান্দুনি গ্রামে শাহবুদ্দিনের নিজ বাড়ীতে থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করি এবং অপহরণ কারী শাহাবুদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। আমরা ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে শাহাবুদ্দিন আদালতে প্রেরণ করেছি।