বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পঁচিশ বছর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার মামলায় নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন পাবনার একটি আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে ঘোষণা করা এ রায়ে মামলার আরো ১৩ জন আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোহাম্মদ রোস্তম আলী।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোখলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান আখতার, তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি ও ঈশ্বরদী কলেজের সাবেক ভিপি রেজাউল করিম শাহিন, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল, তৎকালীন ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, তৎকালীন পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা নুরে আলাম শ্যামল, তৎকালীন ছাত্রদল নেতা আজিজুর রহমান শাহিন ওরফে প্রবলেম শাহিন ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার শামসুল আলম।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন—আল আমিন, খোকন (বর্তমানে মৃত) , ইসলাম হোসেন জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শিমু, আনিস শেখন, নুরুল ইসলাম, আক্কেল আলী, রবি, এনাম, কল্লোল, কালা বাবু, মামুন, সেলিম আহমেদ, মামুনুর রহমান, তুহিন, লিটন, আবদুল্লাহ আল মামনু রিপন, লাইজু, আব্দুল জব্বার, আব্দুল হাকিম টেনু, আবুল কালাম, আলমগীর হোসেন, পলাশ ও পায়েল।
আর ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—রাজু, বাবলু, আনোয়ার হোসেন জনি, বরকত, মুক্তা, মুকুল, দোলাল সরদার, জামরুল, তুহিন বিন ছিদ্দিক, মওলা, ফজলুর রহমান, আব্দুল বারিক ও রস্তম।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আক্তারুজ্জামান মুক্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত সোমবার একই আদালত আলোচিত এ মামলায় বুধবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছিলেন।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ট্রেনে করে খুলনা থেকে সৈয়দপুরে যাচ্ছিলেন। পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে শেখ হাসিনার কক্ষ লক্ষ্য করে গুলি করে আসামিরা। তবে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে (জিআরপি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ৫২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন। গত রোববার ৩০ জন আসামি জামিন আবেদন করলে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।