জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সদর উপজেলার উত্তর বিল ডাউলী এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাজের মান খুবই খারাপ ও রাস্তা নির্মাণ কাজেও করা হয়েছে অনিয়ম এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ডাউলী মসজিদ থেকে উত্তর ডাউলী হাবিবুর রহমান হবির বাড়ি পর্যন্ত পাঁকা রাস্তার নির্মাণে এই নিম্নমানের ইটের খোঁয়া ব্যবহার করে মেসার্স আবিদ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে রাস্তার নির্মাণে এই নিম্নমানের ইট ও খোঁয়া ব্যবহার না করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী আজিজুল ইসলাম আজম’কে একাধিকবার মৌখিকভাবে বাঁধা দেয় এলাকাবাসী। কিন্তু ঠিকাদার আজম তাতে কোনো সাঁড়া না দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ হাট থেকে ডাউটিয়া রাস্তার নির্মাণ প্রকল্প জন্য দরপত্র আহবান করে এলজিইডি। এতে রাস্তার নির্মাণের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩৪ লাখ টাকার কিছু বেশি। তবে দরপত্র আহবানের প্রকল্পের কাজটি পায় মেসার্স আবিদ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ডাউলী মসজিদ থেকে উত্তর ডাউলী হাবিবুর রহমান হবির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির দৈর্ঘ ৪৬৫ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার।
উত্তর ডাউলী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা নিফাজ খান বলেন, রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে খুবই নিম্নমানের ইটের খোঁয়া। অটোরিক্সা বা হেলোবাইক চলাচলের সময় এখনই রাস্তার ডেবে যায়। ঠিকাদার আজমকে অনেকবার বলেছি রাস্তার কাজ ভালো করে করার জন্য। কিন্তু ঠিকাদার আজম বলে কাজ এরকমই হবে এর চেয়ে ভালো করা যাবে না।
গড়পাড়া ইউপির ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, ঠিাকাদার আজমকে অনেকবার বলা হয়েছে রাস্তার কাজ ভালো ইট দিয়ে করার জন্য। সরকার সাধারণ জনগণে যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তার করে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শুনেছি ৩৪ লাখ টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে এই রাস্তার জন্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর জোর দাবি ঠিকাদার যেন রাস্তার অবশিষ্ট কাজ(কার্পেটিং) ভালোভাবে শেষ করে।
মেসার্স আবিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী ঠিকাদার আজিজুল ইসলাম আজম বলেন, রাস্তা নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ সত্য নয়। রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিসের লোকজন তদারকি করে। যদি রাস্তার কাজে কোনো প্রকার অনিয়ম হতো তাহলে তারাই তো রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিতো। রাস্তার নির্মাণ কাজের ব্যাপারে তিনি সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সাথে কথা বলতে বলেন।
মানিকগঞ্জের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো: ফজলে হাবিব জানান, রাস্তাটির নির্মাণ কাজে যদি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের ইট ও ইটের খোঁয়া ব্যবহার করে থাকে তাহলে তা সরিয়ে নিবে। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।