খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল ব্যুরো: বরিশালের বাকেরগঞ্জে শ্বশুর-শাশুড়ি ও মেয়ের জামাই মিলে দীর্ঘদিন ধরে করে আসছিলেন ইয়াবা ব্যাবসা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানা কৌশলে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা এনে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছিলেন তারা। তাদের ইচ্ছা ছিল ইয়াবা বিক্রির টাকা দিয়ে ভবন নির্মাণের। তবে শেষ রক্ষা হলো না।
শুক্রবার উপজেলার দুধল ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ আইউব গাজী ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তাদের মেয়ের জামাই হেলাল খান পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইউব গাজী, তার স্ত্রী নিলুফা বেগম এবং তাদের জামাতা হেলাল খানকে আসামি করে মামলা করেছে। ওই মামলায় আইউব গাজী ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগম গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে বিচারক মাহফুজ আলম তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আইউব গাজী ও নিলুফা বেগমের বাড়ি বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামে। তাদের জামাতা হেলাল খানের বাড়ি উপজেলার গারুড়িয়া এলাকায়। বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি আবুল কালাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কৃষ্ণকাঠি গ্রামের আইউব গাজীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার ঘরে তল্লাাশি চালিয়ে তিন হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইয়ুব গাজী ও তার স্ত্রী নিলুফা বেগমকে আটক করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আইয়ুব গাজী ও নিলুফা বেগম জানান, চট্টগ্রাম থেকে তার মেঝ মেয়ের স্বামী হেলাল খান ইয়াবা কিনে আনত। সেই ইয়াবা তারা বিক্রি করতেন। তাদের ইচ্ছা ছিল ইয়াবা বিক্রির টাকা দিয়ে একটি ভবন নির্মাণের।
ওসি আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শ্বশুর-শাশুড়ি ও মেয়ে জামাতাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। পলাতক আসামি হেলাল খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।