বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) যে ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধকে জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলছে, তার ১১টির নমুনায় সিসা পাওয়া গেছে। পাশাপাশি বাজারে বিক্রি হওয়া খোলা দুধের নমুনায় রয়েছে ক্যাডমিয়াম। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মঙ্গলবার জমা দেওয়া নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদালত এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পাস্তুরিত দুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে বিষয়ে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- মিল্ক ভিটা, ডেইরি ফ্রেশ, ইগলু, ফার্ম ফ্রেশ, আফতাব মিল্ক, আল্ট্রা মিল্ক, আড়ং ডেইরি, প্রাণ মিল্ক, আইরান, পিউরা ও সেইফ মিল্ক।
আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, পশু চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ফার্মেসি অ্যানিমেল অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বা বিতরণ করতে পারবে না। কোনো খামারি বা কেউ প্রেসক্রিপশন ছাড়া গবাদি পশুকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারবে না।
রুলে জনস্বার্থে দুধের দূষণ পরীক্ষা ও গবেষণায় বিএসটিআই নিবন্ধিত দুধ কোম্পানিগুলোকে একটি তহবিল গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে বিএসটিআই এবং দুধ উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি এসব পাস্তুরিত (প্যাকেটজাত) দুধ, খোলা দুধ ও গোখাদ্যের নমুনা পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর, প্লাজমা প্লাস, ওয়াফেন রিসার্চ, পরমাণু শক্তি কমিশন ও আইসিডিডিআরবি’র ল্যাবে। পরীক্ষায় বিএসটিআইর অনুমোদিত ১৪টি কোম্পানির ১১টিতে পাস্তুরিত দুধে সিসা পাওয়া গেছে।
হাইকোর্টের এই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রুলসহ পাস্তুরিত দুধের মান পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। গতকাল নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে।