মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ সংস্কার জরুরী

জাকির হোসেন বাদশা, মতলব (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তরে ১৯৮৭-৮৮ অর্থ বছরে নির্মিত হয় মেঘনা-ধনাগোদা নামে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। প্রকল্পটি নির্মাণ হওয়ার প্রায় ৩৩ বছর চলতে থাকলেও এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের সংস্কার করা হয়নি বলে জানা গেছে। এ প্রকল্পটি প্রতি বছর না হলেও কমপক্ষে ৫ বছর পর পর হলেও সংস্কার প্রয়োজন। কারণ এ প্রকল্পটি তৎকালীন সরকার খাদ্য উৎপাদন প্রকল্প হিসেবেই নির্মাণ করেছিল।

এছাড়াও এ প্রকল্পের ভিতরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। বন্যার পানিতে যেকোন সময় বাঁধ ভেঙ্গে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।

জানা গেছে, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধটি আয়তন প্রায় ৬৩ কিলোমিটার। এ বাঁধটি জুড়ে জনসাধারনের যেমন যাতায়াত তেমনি বসবাস যোগ্য এলাকার জন্য একটি বড় ধরনের সহায়ক। কারণে মতলব উত্তরের এই চলাঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে পানি বেষ্টিত হয়ে পড়ে। বেরীবাঁধটি থাকায় বছরে প্রায় ৪ বার ফসল উদৎপাদন সম্ভব হয়। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনেও মানুষের সহজ যাতায়াত ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়ে থাকে।

সম্প্রতি পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সচিব এই বেরীবাঁধ প্রকল্পটি পরিদর্শন করে গেছেন। পরে তারা নদী ভাঙন এলাকা ঘুরে ভাঙন রোধে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। ওই বরাদ্দ দিয়ে ভাঙন এলাকায় কাজ চলছে। ঘুরে দেখা গেছে, কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। বাঁধের ভিতর ও বাহিরের অংশে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওইসব জায়গাগুলো দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। না হলে সামনে বন্যা মৌসুমে দেখা দিতে পারে বড় ধরনের আশংকা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও পানি ব্যবহারকারী ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক সরকার মো. আলাউদ্দিন বাঁধের টরকী লঞ্চঘাট, চরমাছুয়া, আমিরাবাদ লঞ্চঘাট, জহিরাবাদ, মোহনপুর, দশানী ও সটাকিসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা খাজা আহমেদ, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী সালাউদ্দিন, আ’লীগ নেতা নুরুজ্জামান সরকর দুলাল, মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল সরকার, সুজন ভুইয়া প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, সামনে বন্যা মৌসুম। বন্যা শুরু হওয়ার আগেই বাঁধ সংস্কার জরুরী। বিশেষ করে বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে যেসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো দ্রুত গতিতে সংস্কার করতে হবে। আমি স্থানীয় এমপি অ্যাড. নূরুল আমিন রুহুলের সহযোগীতায় সরকারের কাছে আবেদন করবো, যাতে দ্রুত এই বাঁধটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার সবসময়ই জনগনের কথা চিন্তা করেন। সেই লক্ষ্যে আমরা আশা করি খুব দ্রুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত এই বেরীবাঁধটি রক্ষার্থে বরাদ্দ দিবেন।

Print Friendly

Related Posts