জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: কৃষি মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,আবারও যদি বন্যা হয় হয় তাহলে সেটার জন্যও আমরা প্রস্তুত রয়েছে। যাদের বাড়ি ঘর ভেংগে গেছে তাদের বাড়ি ঘরে ফিরে যাওয়া জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে এবং একজন ব্যক্তিও যাতে না খেয়ে না থাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যা আক্রান্ত এলাকার মানুষের জন্য টাল ডাল ও তেলসহ আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মানিকগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রান বিরতণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সাবেক মন্ত্রী সংসদ সদস্য মীর্জা আজম, আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, স্থানীয় সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, আওয়ামী লীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীন, মানিকগঞ্জ পৌর সভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান জানু, দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম রাজা, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতাদের বন্যা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথ্যা নেই। বিএনপি নেতা রিজভী শুধু মাত্র দলীয় অফিসের বসে প্রেস রিলিজ দেন আর সাংবাদিকরা তা মিডিয়াতে তুলে ধরেন। এছাড়া বিএনপি নেতাদের কোন কাজ নেই। ২০০১ সনে থেকে ২০০৬ সন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। ওই সময় উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা ও বন্যার সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সারা দেশে দুর্গতদের পাশে ত্রান সহায়তা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু গত ১১ বছরে বিএনপির কোন নেতা কর্মী দুর্গতদের পাশে দাঁড়ায়নি। এরকম কোন উদাহরণ তারা দিতে পারবে না।
এসময় কৃষকদের উদ্দ্যেশে মন্ত্রী বলেন,বন্যা সবচেয়ে ক্ষতি হয় কৃষিতে। বন্যা পরবর্তী কৃষি পূর্নবাসন করার জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে সার, বীজ প্রদান করা হবে। এর জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। আশা করা যায় কৃষি পুনর্বাসনে কোন সমস্যা হবে না।
আওয়ামীলীগের ত্রাণ কমিটির পক্ষ থেকে মানিকগঞ্জের তিন উপজেলায় নদী ভাংগন ও বন্যা কবলিত ৩ হাজার পরিবারে মধ্য ৩০ কেজি করে চাল, ডাল, তেল, চিড়া , আলু ও লবণ বিতরণ করা হয়।