রিপন শান: চারজন সহকারী শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী দালাল সিন্ডিকেট গঠন করে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালসহ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দপ্তরে সুনির্দিষ্ট তিনটি অনিয়ম চিহ্নিত করে আশু প্রতিকারের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আজিজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক ও পশ্চিম চর উমেদ ২ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকত আলী হেলাল ।
অভিযোগে প্রকাশ- ভোলার লালমোহন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে পাওয়া ব্যাপক সরকারি বরাদ্দ বাস্তবায়নে, দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আয়ুব আলী অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযোগ এক : ১৯২টি বিদ্যালয়ের স্লিপ বরাদ্দ থেকে ২৫০০ টাকা করে ৪৮০০০০ (চার লাখ আশি হাজার) টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে চাঁদা উত্তোলন করেন ।
অভিযোগ দুই : ১৩২ টি বিদ্যালয়ের রুটিন মেইনটেনেন্স বরাদ্দ থেকে ৩০০০ টাকা করে ৩৯৬০০০ ( তিন লাখ ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা বাধ্যতামূলকভাবে আদায় করেন ।
অভিযোগ তিন : ২৭টি বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত কাজ থেকে ৭০০০টাকা করে ১৮৯০০০ ( এক লাখ ঊনানব্বুই হাজার) টাকা চাঁদা উত্তোলন করেন।
অভিযোগসূত্র জানিয়েছে- উক্ত চার সহকারী শিক্ষক বিদ্যালয়ে না গিয়ে বেশিরভাগ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবস্থান করে শিক্ষক বদলী বানিজ্য, গ্রেড পরিবর্তন, বকেয়া বিল , চাকুরী স্হায়ীকরণ, মেডিকেল ছুটি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, শ্রান্তিবিনোদন ভাতাসহ বিভিন্ন কাজে বেআইনিভাবে অর্থ উত্তোলন করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ ভাগবাটোয়ারা করে নেন । এই সিন্ডিকেটের কাছে লালমোহন উপজেলার প্রায় এগারো শত প্রাথমিক শিক্ষক জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে অভিযোগসূত্র ।
এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আয়ুব আলী জানান- আমার ব্যাপারে যেসমস্ত অভিযোগ আনা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । অভিযোগকারীরা নষ্টপ্রকৃতির লোক। লালমোহন উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমাজে আগে এরা কর্তৃত্ব করত। এখন অন্যরা এদের স্হান দখল করেছে । আমি হাজি মানুষ । পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি । আমার সুনামকে নষ্ট করার জন্য ঐ মহলটি উঠেপড়ে লেগেছে ।