বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ মশা মারতে এবার সমন্বিত অভিযান চালানোর কথা আদালতকে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে তাদের আইনজীবীরা আদালতকে এ কথা জানান। বিষয়টি নিয়ে আগামী ৩০ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘সারা দেশের মানুষ ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত। ঘরে ঘরে মানুষ আক্রান্ত। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা নির্মূলে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ওষুধ আনবেন। কীভাবে আনবেন, সেই প্রক্রিয়া বলুন।’
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আদালতে উপস্থিত হন। ঢাকার দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বেলা ১১টায় আদালতে হাজির হতে গত ২২ জুলাই নির্দেশ দেয় আদালত। সে অনুযায়ি অসকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা হাইকোর্টে হাজির হন। আদালত তাদের বক্তব্য শোনেন।
আদালত বলেন, ঘরে ঘরে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। অনেক হাসপাতালে যায় না। সবাই হাসপাতালে গেলে এই সংখ্যা বেশি হতো।
আদালতে ঢাকা উত্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু ও দক্ষিণের পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি এটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আদালতের তলবে হাজির হন ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। ঢাকার ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূলে নেয়া দুই সিটির পদক্ষেপের প্রতিবেদন দেখে গত ২২ জুলাই অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের তলব করে আদেশ দেয় আদালত।
এর আগে গত ১৪ জুলাই এ আদালত ঢাকা সিটিতে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এডিস মশা নির্মূলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে স্বঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয় আদালত। ওই দিন আদেশে ২২ জুলাইয়ের মধ্যে এ বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ আদালতকে জানাতে বলা হয়েছিল।
এছাড়াও এডিস মশা নির্মূলে এবং ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ এ রকম রোগ ছড়ানো বন্ধে সংশ্লিষ্টদের নিস্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না এবং এই ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে ওইদিন রুলও জারি করে আদালত।