ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান।
মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় তিনি এ আদেশ প্রদান করেন। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আদালতে মিন্নির জামিন শুনানীর কাজ শুরু হয়। প্রায় ১ ঘন্টা রাষ্ট্রপক্ষ ও মিন্নির পক্ষের আইনজীবীরা পক্ষে বিপক্ষে আদালতে বিভিন্ন যুক্তি উপস্থাপন করেন। বিচারক মো: আসাদুজ্জামান দুই পক্ষের যুক্তি তর্ক শুনে এ মামলার আইও মো: হুমায়ুন কবিরকে আদালতে তলব করেন।
পরে দুপুর ২ টায় আইও আদালতে হাজির হলে তার কাছ থেকে মামলার যাবতীয় বিষয় অবগত হয়ে বিচারক বিকাল ৩ টায় মিন্নির জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ প্রদান করেন।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা ছিলেন, পিপি অ্যাড. ভুবন চন্দ্র হালদার, বিশেষ পিপি অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জেলা বারের সভাপতি আবদুর রহমান নান্টু, স্পেশাল পিপি কামরুল আহসান মহারাজ, এপিপি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা বারের সদস্য অ্যাড. এম মজিবুল হক কিসলুসহ প্রায় ৩৫ জন।
মিন্নির পক্ষে আইনজীবীরা ছিলেন, ঢাকা জজ কোর্টের সাবেক স্পেশাল পিপি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ অ্যাড. ফারুক আহাম্মাদ, আইন ও শালিশ কেন্দ্রের (আসক) অ্যাড. মিনা গোস্বামী, অ্যাড. আবদুর রশীদ, অ্যাড. আবু আহম্মেদ, অ্যাড. ফাইজুল কবির ফরিদ এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল সার্ভিসেস ট্রাষ্ট (ব্লাষ্ট) আইন সহায়তা বরিশালের অ্যাড. শাহিদা তালুকদার, অ্যাড. এজেডএম শহিদুজ্জামান খাঁন, অ্যাড. রাকিব হাসান, অ্যাড. সাগর সরকার এবং স্থানীয় আইনজীবীসহ প্রায় ২০ জন।
এ ব্যাপারে মিন্নির আইনজীবী অ্যাড. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, আদালতের বিচারক দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের জামিন শুনানী শোনেন এবং শেষে তিনি তা নামঞ্জুর করেন।
এর পরবর্তী পদক্ষেপ কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিন্নির বাবার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে। এ বিষয়ে আসকের টিম লিডার আবদুর রশীদ বলেন, এ আদেশের সইমোহর তুলে আমরা অবিলম্বে উচ্চাদালতের শরনাপন্ন হবো, ঢাকা সিনিয়র আইনজীবীদের সাথে এ ব্যাপারে আলাপ হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাড. ভূবন চন্দ্র হালদার বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নির জামিন না হওয়ার ব্যাপারে আদালতে আমরা বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেছি, এক পর্যায় মামলার আইও এসে কল রেকর্ড, ভিডিও ক্লিপসহ অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেছে আদালতে, আদালত সন্তুষ্ট হয়ে মিন্নির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।