ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনা জেলায় ৩২৪টি পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। চলছে পাঠদান।
ফলে বছরের পর বছর ধরে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা । এতে পিছিয়ে পড়ছে জেলার শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে, শিক্ষা বিভাগ বলছে, এসব সমস্যা সমাধানে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে বঙ্গোপসাগর কোল ঘেঁষে ৬ টি উপজেলা নিয়ে বরগুনা জেলা। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিশেষ করে বন্যাকে মোকাবেলা করে এবং নানামুখী সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছে এ জেলার মানুষ। বিশেষ করে প্রতিকূল আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে, কখনও তাবু টানিয়ে, আবার কখনও ভাড়া ঘরে অথবা পরিত্যাক্ত ঘরেই চলছে এই এলাকার শিক্ষা কার্যক্রম। ফলে চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে এ অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বরগুনা জেলায় ৩২৪ টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের মধ্যে বরগুনা সদরে ১০৪ টি, আমতলী ৬৮ টি, তালতলী ৪৭ টি, পাথরঘাটা ৭৫ টি, বামনা ৯ টি ও বেতাগী উপজেলায় ২১ টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সকল ভবনগুলোতে চলছে নিয়মিত পাঠদান। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুভয়ে শংকিত থাকেন শিক্ষকসহ শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যেই পরিত্যক্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে প্রেরণ করা হয়েছে। যে সকল ভবন সংস্কার করলে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব, সে ভবনগুলোয় সংস্কারের কাজ চলছে।
জেলা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের সহযোগিতায় দক্ষিণ অঞ্চলে বিশেষ করে বরগুনা জেলায় এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করে নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা হয়, এমনটি প্রত্যাশা এ অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের।