খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল ব্যুরো: বরিশালের সেই ভয়ঙ্কর কিশোর সন্ত্রাস বাহিনী ‘আব্বা গ্রুপ’ এবার আরও প্রকাশ্যে আসলো। গত শুক্রবার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবেদককে দিলো প্রাণনাশের হুমকি। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় ওই পত্রিকার বরিশাল অফিসের প্রতিবেদক তন্ময় দাস তপু সংশ্লিষ্ট মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
হুমকিদাতারা বরিশাল সদর রোড কেন্দ্রীক কিশোর সন্ত্রাসী ‘আব্বা গ্রুপ’র সদস্য। ভয়ঙ্কর এই বাহিনির বিরুদ্ধে বরিশাল সিটি কলেজে একটি ‘টর্চার সেল’ গড়ে তোলার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্মকান্ডে অন্তত শতাধিক অভিযোগ রয়েছে। গত শুক্রবার যুগান্তর পত্রিকায় বরিশারে ভয়ঙ্কর আব্বা গ্রুপ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে তাদের বাহিনীর আংশিক তথ্য উপাত্ত তুলে ধরা হয়। যেই সংবাদটি অনলাইন মিডিয়ার কল্যাণে গোটা দেশে ভাইরাল হয়ে যায়।
অবশ্য এই কারণে বরিশাল পুলিশকেও কিছুটা চাপের মুখে পড়তে হয় বলে শোনা গেছে। কারণ কোতয়ালি থানা থেকে সিটি কলেজের দুরত্ব মাত্র ২শ ফুট। পুলিশ প্রশাসনের কাছাকাছি থেকে কিভাবে একটি এমন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠলো এমন প্রশ্ন পুলিশকেই সমালোচনার মুখে ফেলে দেয়। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে- পুলিশ সেই সংবাদের পরেও বাহিনীর অপরাপর সদস্যদের আটকের মত কোন উদ্যোগ নেয়নি এবং নিচ্ছেনা। ফলে এই কিশোর সন্ত্রাসী বাহিনী এখনও প্রকাশ্যে ঘুরছে।
অভিযোগ রয়েছে আব্বা গ্রুপের প্রধান সৌরভ বালা সম্প্রতি বরিশাল সিটি কলেজ অধ্যক্ষকে প্রকাশ্যে মারধর করে। সেই ঘটনায় পুলিশ তাকে আটক করলেও প্রভাবশালীদের চাপে বেশিদূর আগাতে পারেনি, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরই সংবাদকর্মীদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভয়ানক ‘আব্বা বাহিনী’ গড়ে তোলার পাশাপাশি সিটি কলেজের টর্চার সেলের বিষয়টি। মূলত এই সার্বিক তথ্য উপাত্ত নিয়েই যুগান্তর পত্রিকায় শুক্রবার ওই শিারোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ পায়।
সংবাদের প্রতিবেদক তন্ময় সাহা জানান, অফিসে কাজ শেষে মোটরসাইকেলযোগে নগরীর নতুন বাজারস্থ বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে সদর রোড এলাকায় আব্বা বাহিনির সদস্যরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে নানা ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম এই হুমকির ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- সংবাদকর্মীকে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জিডিটি তদন্তে উপ-পরিদর্শক মর্যাদার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।