রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে ফুপা কর্তৃক ধর্ষিতা হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। রোববার (২৫ আগস্ট) এ ঘটনায় ধামরাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযুক্ত ফুপার নাম আলমগীর (৫০)। সে একটি প্রাইভেটকারের ড্রাইভার।
ভুক্তভোগী ধর্ষিতা সুয়াপুর ইউনিয়নের সুয়াপুর গ্রামের মেয়ে। অভিযুক্ত আলমগীর একই ইউনিয়নের ঘোড়াকান্দার হায়দার আলীর ছেলে।
অভিযোগকারী বলেন, গত বুধবার (২১ আগস্ট) প্রেমিক নাহিদের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার নাম করে ফুপা আলমগীর তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে নাহিদের বাড়ি যাবার কথা বলে বাইরে যেতে চাইলেও ঘরের দরজা বন্ধ করে জোর করে ধর্ষণ করে ভুক্তভোগীকে।
অভিযোগকারীর খালা রাবেয়া বেগম বলেন, ঘটনার পর আলমগীর ভুক্তভোগীকে বাড়িতে পৌছে দেয়। দুদিন পর ভুক্তভোগী এই ঘটনা তার মাকে জানায়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, এই ঘটনা শোনার পর আমরা চেয়ারম্যান, মেম্বারকে জানাই। তারা মিমাংসার কথা বলেন। আলমগীরকে আটক করা হলেও সুয়াপুর ইউনিয়নের মেম্বার প্রভাত মালো তাকে ছেড়ে দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মেম্বার প্রভাত মালো বলেন, ঘটনাটা জানি। দুইজনকেই আমি চিনি। আমরা মিমাংসার কথা বলেছিলাম। তবে তারা চলে যায়। পরে আলমগীরও নিজের বাসায় চলে যায়।
সুয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোরহাব বলেন, ঘটনাটা কয়েকদিন আগে ঘটে। পরে আমার কাছে অভিযোগ জানায়। আত্মীয় স্বজনের মধ্যে ঘটনা বলে আমরা মিমাংসার কথা বলি। তবে মেয়েরা কোন মীমাংসায় যায়নি।
আলমগীরকে পুলিশে সোপর্দ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমাদের এখতিয়ার না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ভুক্তভোগী ও তার মা থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।