বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক॥ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। এতে যারপরনাই খুশি হয়েছে মিন্নির স্বজনেরা। এদিকে তার জামিনের রায়ে জনমনে প্রতিক্রিয়া মিশ্র দেখা দিয়েছে।
অনেকেই এখন প্রশ্ন করছে জেল থেকে কবে মুক্তি পাবে মিন্নি। এবিষয় তার আইনজীবীরা বলছেন, আগামী মঙ্গলবার নাগাদ মিন্নি কারাগার থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুর ২টায় হাইকোর্ট শর্ত সাপেক্ষে মিন্নির জামিন আবেদন মঞ্জুর করার খবরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন উভয়ের পরিবারের সদস্যরা।
নিহত রিফাত শরীফের পরিবার হতাশা ব্যক্ত করেছেন। রিফাতের মা ডেইজী বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আদালতের উপরে আমাদের তো কোনো হাত নেই, তবে আমাদের আস্থা আছে, আমরা ন্যায় বিচার পাব। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
মিন্নি কারাগারমুক্ত হতে যাচ্ছেন কবে নাগাদ জানতে চাইলে মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহবুবুল বারি আসলাম বলেন, দু’দিন সরকারি ছুটির পর রোববার উচ্চ-আদালত থেকে জামিন মঞ্জুর সংক্রান্ত বিচারপতি মহোদয়ের স্বাক্ষরিত আদেশ বরগুনার আদালতে পাঠানো হবে। উচ্চ আদালত, যে আদালতে বেলবন্ড দাখিল করতে বলবে ওই আদালতে মিন্নির পক্ষে ‘বিবিধ মামলা’ (মিসকেস) করতে হবে। মামলার পর কোর্ট মিন্নির জামানতনামা দাখিলের আদেশ দেয়ার পর জামানতনামা দাখিল করে মিন্নি কারাগার থেকে মুক্ত হবেন। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে মঙ্গলবার নাগাদ সময় লেগে যেতে পারে বলে আসলাম জানান।
৩০ জুলাই মিন্নি তার জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন। এর আগে গত ১৬ জুলাই দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে ১৭ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেয়। পরে এ মামলায় মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এখন তিনি বরগুনা কারাগারে রয়েছেন। তার জামিন চেয়ে আনা আবেদন নাকচ করে দেয় জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্র্যাট আদালত। পরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতও মিন্নির জামিন আবেদন নাকচ করে আদেশ দেয়।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে দশটার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের পাশে রিফাতকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে কয়েকজন যুবক।
সেসময় নানাভাবে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেনি রিফাত। ওই ঘটনার একটি ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে তা ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়।