কখনও টাকা আমাকে স্পর্শ করে না: জাবি উপাচার্য

জাবি প্রতিনিধি: ‘বঙ্গবন্ধু যাদেরকে পদোন্নতি দিয়েছিলেন, তারাই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।’ শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এসব কথা বলেন।

এর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, ‘মন হত্যাও অপরাধের মধ্যে পড়ে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তার কোনো সত্যতা নেই। এমন ঘটনা ঘটেনি।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাকে দেখেছেন, আমাকে চেনেন, তারা জানেন টাকা আমাকে স্পর্শ করে না। কখনও সেদিকে তাকাতেও আমার ভালো লাগে না। এই বিশ^বিদ্যলয়ে এসেছি আপনাদের সেবা কারার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার সম্পর্কে একটি লোকেরও যদি সন্দেহ হয়, অবশ্যই আমার কাছে আসবেন।

এসময় তিনি আগামি বছর যথাযোগ্য ‘মুজিব শতবষর্’ পালন উপলক্ষে সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচী পালনের কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নথি পড়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। তিনি পুরো বাংলাদেশকে জানতেন। সব বিষয়ে অবগত ছিলেন। তিনি দর্শনার্থীদের সঙ্গে সহজ ও সরল ব্যবহার করতেন এবং তাদের বাড়ির পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতেন।তিনি এদেশের গণমানুষকে তিনি গভীরভাবে ভালোবাসতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় সরকার যে বরাদ্দ দিয়েছে, তাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts