নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’ আলোচনা সভার আয়োজন করে। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় ভিআইপি লাউঞ্জে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, এমপি ও প্রধান বক্তা ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ এ্যাড. মো: নুরুল আমিন রুহুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক দল এবং আমরা বুদ্ধিজীবীরা সেই দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। এসব কারো একার পক্ষে দমন সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সবাইকে আন্তরিক থাকার পরামর্শ দেন এবং তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে স্বাধীনতা যুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসাবে তার অবদানের কথা তুলে ধরেন ।
প্রধান বক্তা অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল এমপি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে না দেখলেও তার আত্মজীবনী পড়ে অনেক কিছু জেনেছি। তার সম্পর্কে কথা বলে শেষ করা যাবে না। ২৬টি বছর কারাভোগ করেছেন। একই পরিবারের ১৪ জন শাহাদাত বরণ করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, পৃথিবীর সব আন্দোলনেই সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। সমাজের অনাচার মানুষের সামনে তুলে ধরতে এবং কীভাবে আন্দোলন করতে হবে, সেটাও জাতিকে বুঝিয়ে দেন সাংবাদিকরা। এসময় বাংলাদেশের আলো পত্রিকার সম্পাদক ও অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মফিজুর রহমান খান বাবু স্থানীয় কয়েকটি সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলা হতো না। আমরা লাল সবুজের পতাকা পেতাম না।
সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইয়া, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি তরুণ তপন চক্রবর্তী, প্রফেসর ডা. আমিরুল হক, চট্রগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মাহমুদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলম চৌধুরী, লিটন এরশাদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: খোরশেদ আলম।