ইফতেখার শাহীন, বরগুনা: বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা মামলার সাথে জড়িত আরও ৬ কিশোর আসামীকে যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আজ সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে এ আদেশ দিয়েছেন।
কিশোর আসামীরা হচ্ছে, রাশেদুল হাসান রিশান ওরফে রিশান ফরাজী (১৭), ওলিউল্লাহ ওরফে অলি (১৬), জয় চন্দ্র সরকার ওরফে চন্দন (১৭), তানভীর হোসেন (১৭), নাজমুল হাসান (১৪) ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবন (১৬)। রাতুল শিকদার জয় (১৬) নামে আরও একজনকে আগেই কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে ৭ কিশোরকে যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হলো।
রিফাত শরীফ হত্যায় চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামী- রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো: হাসান (১৯), আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো: সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুনকে (২১) আদালতে হাজিরা শেষে বেলা ১১টার দিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১৪ জন আসামীকে আজ বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করা হয়েছিলো। তাদের মধ্যে ৮ জনকে বরগুনা জেলা কারাগার ও ৬ জনকে যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মামলার পরবর্তী তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ২৪ জনকে দায়ী করে চার্জশীট দাখিল করলেও ৯ জন আসামী এখনো ধরা পরেনি। তারা হচ্ছে- মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো: মুসা (২২), রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫), আবু আবদুল্লাহ ওরফে রায়হান (১৬), মো: নাইম (১৭), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫), সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ ওরফে মহিবুল্লাহ (১৭), মারুফ মল্লিক (১৭) ও প্রিন্স মোল্লা (১৫)।
এডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের জানিয়েছেন, তিনি আরিয়ান হোসেন শ্রাবন ও কামরুল হাসান সায়মুনের পক্ষে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলেন। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের দুজনকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলেছেন।
এডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদের জানিয়েছেন, তিনি আরিয়ান হোসেন শ্রাবন ও কামরুল হাসান সায়মুনের পক্ষে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছিলেন। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তাদের দুজনকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে বলেছেন।