বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ম্যাচের মাত্র তিন দিন শেষ হয়েছে। ৩৭৪ রানে এগিয়ে থেকে এরই মধ্যে অনেকটাই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে আফগানিস্তান। এই পরিস্থিতি পাল্টাতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে অবিশ্বাস্য কিছু। দ্বিতীয় ইনিংসে তা করাটা কঠিন হলেও চেষ্টা করতে তো ক্ষতি নেই।
বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও বলছেন সেই চেষ্টার কথা। তৃতীয় দিন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেদের ব্যর্থতা কথা মেনে নিয়ে জানালেন, শেষ চেষ্টা করতে চায় তারা।
তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আট উইকেটে ২৩৭ রানে দিন শেষ করে আফগানিস্তান। দিন শেষে উইকেটে ছিলেন আফসার জাজাই ও ইয়ামিন। তাতে লিড ৩৭৪ রানের। হাতে আছে এখনো দুই উইকেট।
জিততে হলে বাংলাদেশকে গড়তে হবে ইতিহাস। কারণ চতুর্থ ইনিংসে ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জিততে পারেনি টাইগাররা। এছাড়া চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৩১৭ রানের বেশি টপকে জিততে পারেনি কোনো দল।
ঘরের মাঠে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের জন্য এই রান তাড়া করাটা সত্যিই কঠিন। তারপরও আমাদের চেষ্টা করতেতো বাধা নেই। আমাদের সুযোগ নিতে হবে। দুই দিন সময় আছে, শেষ চেষ্টাটা আমরা করতে চাই। তারপর হেরে যাই কিংবা জিতে যাই সেটা পরের ব্যাপার। আমাদের হাতে যেটা আছে সেটা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করা। আমাদের ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। এমন বড় স্কোর তাড়া করতে গেলে, অবশ্যই আমাদের ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে হবে।’
আগামী দুই দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য নিয়ে তরুণ এই স্পিনার বলেন, ‘ক্রিকেটে সবকিছুই হতে পারে। আমরা চেষ্টা করব, আমাদের হাতে দুই দিন সময় আছে। প্রথম কাজ হলো দ্রুত ওদের বাকি দুটি উইকেট তুলে নেওয়া। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বটা ঠিকভাবে বুঝে সেটা পালন করা। অবশ্যই আমি মনে করি, ক্রিকেট খেলায় সবই হতে পারে। জেতা ম্যাচও হেরে যেতে পারি কিংবা হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতা সম্ভব। এমন অনেক ঘটনাই আছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।’
দিন শেষে টেস্ট ক্রিকেটে নবীন আফগানিস্তানের সামনে বাংলাদেশের এমন হাল নিয়ে কীভাবে নিচ্ছেন টাইগাররা? মিরাজের উত্তর, ‘ওরা মাত্র টেস্ট ক্রিকেট শুরু করেছে। ওদের মধ্যে রোমাঞ্চটা আরো বেশি কাজ করবে। ওরা চাইবে টেস্টে সাফল্য পেয়ে বিশ্বকে দেখাতে। ওরা মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়েই এসেছে আমাদের এখানে। আমাদের প্রস্তুতিও ভালো ছিল। কিন্তু অনেক সময় খারাপ সময় যায়, এটাই হয়তো হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য দুই দিন আমাদের ভালো যায়নি।’