জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জে আয়কর অফিসে ট্যাক্সবারে সনদবিহীন ব্যক্তিদের কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। আয়কর সনদ থাকার পরও অনেকে প্র্যাকটিস করার করার সুযোগ পাচ্ছেন না।
গত ২৬শে আগস্ট জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন আয়কর সনদপ্রাপ্ত এক আইনজীবি। পরে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস ওই অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলার সহকারী কর কমিশনারকে বলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সনদপ্রাপ্ত কেউ আয়কর ট্যাক্সবারে প্র্যাকটিস করতে গেলে তাদেরকে বসার কোনো জায়গা দেওয়া হচ্ছে না। যুগেশ চন্দ্র সরকার, ফেরদৌস জামান মলি, গাজী চন্দন ও রেজা জামান ঝিপু এই চারজন সনদবিহীন হয়েও ট্যাক্সবারে অবাধে কাজ করে যাচ্ছেন। সনদবিহীনরা সবধরনের সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে ট্যাক্সবার থেকে এমনকি আয়কর আইনের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে সরকারি রাজস্বের ক্ষতিও করছেন তারা।
অভিযোগকারী আয়কর আইনজীবি মোহাম্মদ ওয়াসীম জানান, দীর্ঘদিন ধরে আয়কর পেশাজীবি সনদ ছাড়াই ট্যাক্সবারের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি কাজ করে যাচ্ছে। তারা সবাই মিলে একটি শক্তিশালী চক্রও তৈরি করেছে। তাদের সিন্ডিকেটের কারণে আয়কর পেশাজীবি সনদপ্রাপ্ত হয়েও আমি বারে বসতে পারছি না।
মানিকগঞ্জ ট্যাক্সবার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গাজী মামুনুর রহমান জানান, অভিযোগকারী এখনও জেলার ট্যাক্সবারের সদস্য হয়নি। ফলে তিনি চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসতে পারছেন না। তবে বারের পক্ষ থেকে তাকে অন্যসকলের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে বলা হয়েছে। সনদবিহীন কেউ এখানে কাজ করেন না তবে যারা আছেন তারা জুনিয়রশীপ হিসেবে কাজ করেন।
এ ব্যাপারে আয়কর অফিসের সহকারি কর কমিশনার মোঃ ফজলুল হক বলেন, ইতিমধ্যেই লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন সেটাই বহাল থাকবে।