সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার দাবী

বরিশাল ব্যুরো: ঝালকাঠিতে অবৈধ নিয়োগকে বৈধ করার লক্ষ্যে প্রতিবাদী সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীনের বি’রুদ্ধে দপ্তরী কতৃক মিথ্যা মা’মলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম পাইলট ও সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে জানান, দেশে চলমান সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তা নাহলে আজ ঝালকাঠির সাংবাদিক মহিউদ্দীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করছে কাল হয়তো দেশের অন্য জেলা উপজেলার সাংবাদিকদের এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর জানান, বর্তমানে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলার কোথাও না কোথাও সাংবাদিক নির্যাতন, হামলাসহ মিথ্যা হয়রানি মামলার শিকার হচ্ছে। ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো ও বাংলাদেশ টুডের ফটো সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীনের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা দপ্তরী কতৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার দাবী জানান।

অনুসন্ধানে জানাযায়, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলাধীন উত্তর জুরকাঠী আজিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অবৈধভাবে গোপনে দপ্তরী নিয়োগ করে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ আর এ নিয়োগের প্রতিবাদ করায় জাতীয় “দৈনিক কালবেলা” পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো, “বাংলাদেশ টুডে” ফটো সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীনের বি’রুদ্ধে ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজির নালিশী অ’ভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত দপ্তরি মানিক তালুকদার বাদী হয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ১০ সেপ্টেম্বর এমপি-১৯৯/১৯(নল) নালিশী অভিযোগ দায়ের করে। আদালত নলছিটি থানাকে ত’দন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

অনুসন্ধানে আরো জানাযায়, গত বছর ১২ মার্চ ওই মাদ্রাসায় দপ্তরি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হলে সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীনের ভগ্নিপতি উক্ত পদের জন্য প্রার্থী হিসেবে আবেদন করেন। দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও ওই মাদ্রাসায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোন দপ্তরি নিয়োগ দেয়া হয়নি। সম্প্রতি ওই এলাকার মানিক তালুকদার নিজেকে দপ্তরি পরিচয় দিয়ে মাদ্রাসায় যাতায়াত করতে থাকলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এতে সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীন মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের কাছে গোপন নিয়োগের প্রতিবাদ করেন। এবং ওই মাদ্রাসার সুপার কর্তৃক অবৈধ নিয়োগের টাকা লেনদেনের বক্তব্য সম্বলিত গোপন ভিডিও রেকর্ড ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা ভাইরাল হলে নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার আজিম সাংবাদিকদের কাছে ওই অবৈধ নিয়োগ বাতিলের আশ্বাস দিয়ে ভিডিওটি ডিলেট করতে অনুরোধ করেন। এরই মধ্যে অবৈধ নিয়োগ পাওয়া মানিক তালুকদার আদালতে নালিশী অভিযোগ করেন।

মানিক তালুকদার উল্লেখ করেন, সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীন গত ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় তার বাড়িতে গিয়ে মা, স্ত্রী ও কন্যার, সামনে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। সাংবাদিক খান মাইনউদ্দীনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁ’দাবাজির অভিযোগ দায়ের করায় বিএমএসএফ সহ সাংবাদিক সমিতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি ওই মাদ্রাসায় অবৈধ নিয়োগ ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।

Print Friendly

Related Posts