মতলব উত্তর থানায় ১৫ লাখ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ,গ্রেপ্তার ৭৩
জাকির হোসেন বাদশা, মতলব (চাঁদপুর): চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় গত সাত মাসে ৬৩ টি মাদক মামলা, ২ টি দস্যুতা মামলা, ১ টি ডাকাতি মামলা, ৪ টি চুরি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও ৩৬৭ টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করেছে পুলিশ। এ অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি হওয়ায় অন্তত এক হাজার মানুষ মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছে। বিগত বছরগুলো মধ্যে গত ৭ মাসে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় এই সাফল্য ধরা দিয়েছে।
মতলব উত্তর থানা সূত্র জানায়, গত ২২ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় ৪৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ৮৪ জন্য দাগি মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পলাতক রয়েছে ১১ জন। ৪ হাজার ৫৬৫ পিস ইয়াবা, ৯ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজা, ৩ লিটার দেশীয় চোলাই মদ, ২টি ভোদকা, ৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ টি বিয়ারসহ মোট ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৫০ টাকার (প্রায় ১৫ লাখ) মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
থানায় আসা কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে থানায় এসে দ্রুত সেবা পেয়েছেন তারা। মালেক নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি জায়গা সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। বিনা খরচে ওসি মহোদয় তা সমাধান করে দিয়েছেন। জেসমিন আক্তার নামে অসহায় নারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন পারিবারিক কলোহে ভোগান্তিতে ছিলাম।থানায় এসে অভিযোগ করার পর সুষ্ঠু সমাধান পেয়েছি।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, অফিসিয়াল কার্যক্রমের বাইরেও আমি জনসেবা বৃদ্ধির জন্য কাজ করেছি। উপজেলার ছেঙ্গারচর বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হাট বাজার ও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রচার অভিযান র্যালি সভা, পাঁচগাছিয়া রাস্তা মেরামত, গলাকাটা গুজবের সময় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানোর কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে মুক্তি, পরিবহন খাতকে চাঁদাবাজ মুক্ত, গ্রাম পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে নৈশ প্রহরীর ব্যবস্থা করা এবং থানার সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ করেছি।
এক বিশেষ সাক্ষাতে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আমি যোগদান করার পর থেকেই থানা পুলিশকে ব্যাপক তৎপর করে তুলি। পুলিশ হল জনগণের সেবক। সে হিসেবে আমি পুলিশ সদস্যদেরকে পরিচালনা করেছি। আমি চেয়েছি, পুলিশের মাধ্যমে জনগণ সবসময়ই সেবা পাক। পুলিশ চাইলে অনেক ভাবে জনগণকে সেবা করতে পারে। এই থানায় আমার সবচেয়ে বড় পাওনা হল ঘুষ দূর্নীতি মুক্ত সেবা দিতে পেরেছি।
ওসি আরও জানান, সরকারের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার স্বার্থে পুলিশ যেকোন অপরাধ দমন করাসহ জনসেবা করতে পারে। পুলিশকে মানুষ অনেক বিশ্বাস করে। তাই আমি বলবো পুলিশকে মানুষের মনের ভাব বুঝে পাশে দাঁড়াতে হবে। আর ভাল সেবা পাওয়ার জন্য জনগণও পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। তাহলেই সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে দ্রুত সফল আসবে।