কাজী দুলাল, দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: এবার দুর্গাদেবী আসবেন ঘটকে চড়ে, যাবেন ঘোড়ায় চড়ে। পটুয়াখালীর দুমকিতে দুর্গাপূজাকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরী সম্পন্ন করে তুলির শেষ আঁচড়ে ও পোশাকে প্রতিমা সাজানোকে ঘিরে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন শিল্পীরা।
পূজা উপলক্ষ্যে প্রতিটি মন্দিরে বাড়তি আলোকসজ্জার আয়োজনের প্রস্ততি চলছে । সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব এ শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে ও দলমত নির্বিশেষে আগত দর্শনার্থীদের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
দুমকি উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৯টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হবে। পুজা মন্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে দুমকি থানা পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্যরা।
আগামী ৪ অক্টোবর দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে ৬দিন ব্যাপী চলবে এ শারদীয় দুর্গা উৎসব।
উপজেলার মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজারের দাসবাড়ী সার্বজনীন দূর্গামন্দিরে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত শিল্পী পরিমাল চন্দ্রপাল জানান, প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ। এরপর রং গহনা ও শাড়ী পরিধানের মধ্যে দিয়ে প্রতিমা পাবে মায়ের পূর্ণ রূপ।
দুমকি উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির (ভারপ্রাপ্ত)সভাপতি শিমুল মাস্টার জানান, ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এ বছর উপজেলার ৯টি মন্ডপে পূজা উদ্যাপিত হবে। উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক সভাও করেছে উপজেলা প্রশাসন।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, পুজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। দুমকিতে মোট ৪টি পুজামন্ডপ ঝুঁকিপূর্ন । সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারে সে জন্য প্রতি এলাকার গণ্যমান্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবং দলমত, জাতিধর্ম নির্বিশেষে পুজা মন্ডপে আগত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পূজা মন্ডপগুলোতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।