মোকাম্মেল হক মিলন: আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০১৯ উপলক্ষে ভোলা জেলা প্রশাসন ও সমাজকল্যান সংস্থা, প্রবীণ হিতৈষী সংঘ এবং সমাজকল্যান বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, র্যালি, ক্রেষ্ট বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ভোলার সভাপতি সাংবাদিক এম.এ তাহেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ভোলা জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান, বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মৃধা মুজাহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মহসিনুল কবির, ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ দুলাল চন্দ্র ঘোষ, ভোলা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর পারভীন আক্তার, সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মালেক, শহর সমাজকল্যাণ প্রকল্প পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সমাজসেবা উপ-পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম, দৈনিক আজকের ভোলা সম্পাদক আলহাজ্ব শওকত হোসেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ভোলা সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবার সহকারী উপ-পরিচালক কাজি গোলাম কবির। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রবীণ প্রধান শিক্ষক আঃ খালেক রচিত একটি কবিতা পাঠ করেন শিশু পরিবারের সাবেক সহকারী সুপার ফিরোজ কবির। অনুষ্ঠান পবিত্র কোরআন পাঠ করেন সমাজসেবার সমাজ কর্মী আব্দুর রাজ্জাক এবং গীতা পাঠ করেন সমাজসেবার সমাজ কর্মী হরি চাঁন বেপারী। অনুষ্ঠানে শিক্ষক, সাংবাদিক, বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ প্রবীন হিতৈষী সংঘ ভোলার বিভিন্ন পর্যায়ে সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন সমাজে প্রবীণদের সকলেই শ্রদ্ধা করা উচিত। প্রত্যেক ছেলে মেয়ে তার বাবা মাসহ প্রবীণদের আপন করে রেখে তাদের সেবাযত্ন করা বড়ই প্রয়োজন। বর্তমান সমাজে সন্তানগন তাদের বাবা মার প্রতি সেই মর্মতবোধ না থাকায় অনেক প্রবীণ ব্যক্তিরা সরকারি বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হচ্ছে, এটি আমাদের জন্য অতিব দুঃখের। আমরা চাই বৃদ্ধাশ্রমগুলো শূন্য থাকুক আর পরিবার পরিজনদের সাথে পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক অটুট থাকুক।
এরপর আলোচনা শুরুর আগে সকলকে নিয়ে একটি র্যালি শহর প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এসে শেষ হয়। আলোচনা সভার শেষে মমতাময়ী মা নুরজাহান বেগম এর সেবা করার জন্য সাংবাদিক মোকাম্মেল হক মিলনকে ও বাবা অ্যাডভোকেট আব্দুল হক এর সেবা করার জন্য মেয়ে ফরিদা ইয়াসমিন নান্নীকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয় ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘর পক্ষ থেকে সম্মামনা ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়।