খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল: বরিশাল নগরে বিকল্প কর্মসংস্থান ছাড়া নির্বিচারে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করাসহ প্রয়োজনীয় নীতিমালার ভিত্তিতে নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলার দাবী জানিয়ে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা শ্রমিক-মালিক সংগ্রাম কমিটি, বরিশাল মহানগর রিক্সা-ভ্যান চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।
তারা অবিলম্বে প্রশাসন কর্তৃক জব্দকৃত ২ কোটি টাকা অর্থমূল্যের ব্যাটারি ও মটর ফিরিয়ে দেয়ার দাবীও জানিয়েছেন।
বুধবার (২ই অক্টোবর) সকাল ১১ টায় বরিশাল শহরের বিভিন্ন সড়কে লাল পতাকাসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নগরের অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনসহ প্রতিবাদ সভা করছেন।
বরিশাল জেলা সমাজতান্ত্রিকদল (বাসদ) জেলা সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট সহ-সভাপতি আঃ রাজ্জাক, গণফোরাম জেলা সভাপতি এ্যাড, হিরন কুমার দাস মিঠু, কমিউনিস্ট পার্টি জেলা সভাপতি মিজানুর রহমান সেলিম, এ্যাড. আবু রায়হান, দুলাল মজুমদার, গণ সংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা আহবায়ক দেওয়ান আঃ রসিদ নিলু, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন জেলা সভাপতি আবুল হাসেম মাস্টার,শহিদুল ইসলাম,মহসিন মীর, জাহাঙ্গির হোসেন দিদার, বরিশাল জেলা ছাত্র ইউনিয়ন নেতা নবীন আহমেদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মোজাম্মেল হক সাগরসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন থেকে বক্তব্য রাখেন। আমরণ অনশন কর্মসূচিতে একাত্বতা প্রকাশ করে অংশগ্রহন করেন সিপিবি, গণ সংহতি আন্দোলন, নৌযান ফেডারেশন, ছাত্র ইউনিয়ন, হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন। এসময় বক্তারা বলেন, আমরা ইতিপূর্বে বহুবার নগর পিতার সাথে দেখা করতে গেলেও তিনি কোন শ্রমিক সংগঠনের সাথে দেখা করেন না। যে জনপ্রতিনিধি হয়েও জন সাধারণের সমস্যার কথা শুনতে চান না, তাহলে উনি কি মেয়র হয়েছেন কতিপয় বিত্তবানদের জন্য?
তারা আরও বলেন, নগর পিতার কাজ হচ্ছে জনগনের সাথে কথা বলে সাধারণ মানুষের সমস্য সমাধান করা সে তা না করে রাজতন্ত্র পরিবারের সদস্যদের মত নিজেকে ঘরের ভিতর আড়াল করে রেখে বিসিসি পরিচালনা করছেন। অন্যদিকে নির্বাচনী ওয়াদা ভুলে গিয়ে মেয়র এখন পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে সাধারণ রিকশা ও অটো শ্রমিক চালকদের পেটে লাথি মারছেন।
বক্তারা রিক্সা ও অটো ইজিবাইক চলাচলের ব্যবস্থা করার আহবান জানান।