জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বুধবার বেলা এগারোটায় শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় শহীদমিনার পাদদেশে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এদিকে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘আন্দোলন আর চক্রান্ত দুইটা দুই জিনিস। আমি মনেকরি আন্দোলন হলে আলোচনাও হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। আলোচনায় না গিয়ে আন্দোলন করলে তা চক্রান্তই বলা যায়।’
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ‘তদন্ত কমিটি’র জন্য উপাচার্য আলোচনায় বসলেও তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে। এতেই প্রমাণিত হয় এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্রমূলক কোনো অযৌক্তিক আন্দোলনের কাছে আমরা মাথা নত করব না।’
মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি মহল অযৌক্তিক আন্দোলন করছে। এ বিশ^বিদ্যালয়ে কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন সফল হবে না।’ এসময় আন্দোলনকারীরা অচিরেই তাদের ভুল বুঝতে পেরে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মানববন্ধনে অধ্যাপক এ এ মামুন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ হেল কাফী, অধ্যাপক হানিফ আলী, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক রাশেদা আখতার, অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার সহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে দুইদিনের ধর্মঘট ও প্রশাসনিক ভবন অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারীরা। কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বুধবার রাত সাড়ে বারোটায় ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষকদের আনতে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকাগামী বাস আটকে দেয় তারা। পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ধর্মঘটের কারণে অধিকাংশ বিভাগে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। অবরোধের কারণে অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে পারেনি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।