বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে এ বার দুর্গাপূজো হচ্ছে ৩১ হাজার ৩৯৮টি। তার মধ্যে প্রথম বার পুজো হচ্ছে ৪৮৩টি। পূজোর সংখ্যা এ বার কেন বেড়েছে? বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি মিলনকান্তি দত্তর যুক্তি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক সরকার সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসবে নিরাপত্তার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এটা তারই ফলশ্রুতি।
তাঁর কথায়, শেখ হাসিনা সরকার মৌলবাদী জঙ্গিদের উচ্ছেদে যে ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছেন, তার ফলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির যেমন উন্নতি হয়েছে, সাধারণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভাল হয়েছে। জঙ্গি হামলার শঙ্কা এখন অনেকটাই কমেছে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি পুজো মণ্ডপে পুলিশি পাহারার নির্দেশ দিয়েছেন। পূজো কমিটিগুলিকে কিছু আর্থিক সাহায্যও দিচ্ছে সরকার। খবর আনন্দবাজারপত্রিকার।
খবরে আরো বলা হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন- শারদীয় উৎসবে তাঁরা নাশকতার কোনও আশঙ্কা করছেন না। তার পরেও যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাঁদের বাহিনী তৈরি। তিনি জানান, রাজধানী ঢাকার ৪টি মণ্ডপকে ‘বিশেষ মণ্ডপ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই চারটি মণ্ডপ হল— জাতীয় মন্দির ঢাকেশ্বরী, রামকৃষ্ণ মিশন, ধানমন্ডি ও বনানী। এখানে প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর ও সর্বত্র সিসিটিভি-র নজরদারির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঢাকার পাঁচটি ঐতিহ্যশালী মণ্ডপে বিশেষ পাহারা রাখছে পুলিশ। এগুলো হল, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, উত্তরা সর্বজনীন, বসুন্ধরা সর্বজনীন এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট।
সব মিলিয়ে ঢাকা বিভাগে এ বার পূজোর মণ্ডপ থাকছে ৭,২৭১টি, চট্টগ্রামে ৪,৪৫৬টি, সিলেটে ২,৫৪৫টি, খুলনায় ৪,৯৩৬টি, রাজশাহিতে ৩,৫১২টি, রংপুরে ৫,৩০৫টি, বরিশালে ১,৭৮১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১,৬৩২টি। এর বাইরে পারিবারিক পূজোও রয়েছে কয়েক হাজার।