বিক্রম ভট্টের লাভ লাইফ যেন রোলার কোস্টার

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সুস্মিতা সেনের জন্য ছোটবেলার বান্ধবী-স্ত্রীকে মুহূর্তে ডিভোর্স। কিছুদিন পরে সুস্মিতা সেনের সঙ্গেও বিচ্ছেদ। ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রী-মেয়ের জন্য অনুতাপ। ফের এক নায়িকার প্রেমে পড়া। পাঁচ বছর আমিশা পটেলের প্রেমে রীতিমতো বিভোর হয়েছিলেন।

তারপর আমিশার সঙ্গেও বিচ্ছেদ। পরিচালক বিক্রম ভট্টের লাভ লাইফ যেন রোলার কোস্টার। কেরিয়ারে যত জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছেন তিনি, ব্যক্তিগত জীবন তাঁর ততই শূন্য রয়ে গিয়েছে।

গুজরাটে জন্ম বিক্রম ভট্টের। মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকেই তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। খুব কম বয়সেই বিয়ে করে নেন ছেলেবেলার বান্ধবী অদিতিকে।

স্ত্রী অদিতি এমনিতেই শ্বশুরবাড়িতে তার যোগ্য সম্মান পেতেন না বলে অভিযোগ। বিক্রমের কাছ থেকেও কোনওদিন সে ভাবে সমর্থন পাননি। শুধু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বিক্রমের কাছে পড়ে থাকতেন তিনি। এর মধ্যেই তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ বিক্রমের জীবনে।

বিক্রমের বয়স তখন ২৭ বছর আর সুস্মিতা ২০। ফিল্ম ‘দস্তক’-এর শুটিংয়ের সময়ই দু’জনের পরিচয়। সেই থেকেই তাদের প্রেমও। ইন্ডাস্ট্রিতে এই নিয়ে চূড়ান্ত গসিপ শুরু হয়।
স্ত্রী অদিতি এই বিষয়টি আর মেনে নিতে পারেননি। দু’জনের মধ্যে তীব্র বিরোধ শুরু হয়। ডিভোর্স হয় তাঁদের। কিন্তু ডিভোর্সের আগে প্রচণ্ড কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয় একে অপরের উদ্দেশে। এই পরিণতির জন্য একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেন তারা।

বিক্রম তখন সুস্মিতা সেনের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। ফলে অদিতিকে ডিভোর্স দেওয়াটা তার কাছে বেশ খুশির বিষয়ই ছিল। ভেবেছিলেন বোধহয়, বাকি জীবনটা সুস্মিতার সঙ্গে কাটাবেন। অন্যরকম একটা জীবন পাবেন।

কিন্তু তার সে ইচ্ছাও পূর্ণ হয়নি। ছোটবেলার বান্ধবী তথা স্ত্রী অদিতিকে ডিভোর্স দেওয়ার পর পরই সুস্মিতার সঙ্গে তার বিরোধ শুরু হয়। নানান বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে মতপার্থক্য শুরু করে।

শেষমেশ সুস্মিতা সেনের সঙ্গে তার সম্পর্কের ভাঙন ঘটে। ততদিনে স্ত্রী এবং মেয়ের জন্যও অনুশোচনা হচ্ছিল তার। স্ত্রী এবং মেয়ের সঙ্গে তিনি ঠিক করেননি, বারবারই তার মনে হচ্ছিল। একটা সাক্ষাৎকারে এ কথা নিজেই বলেছেন বিক্রম।

অবসাদ কাটাতে, ভাল থাকার জন্য আরও বেশি ফোকাস করেন কেরিয়ারে। তখন ‘আঁখে’ ফিল্মের শুটিং শুরু করেন তিনি। মুখ্য চরিত্রে নেন আমিশা পটেলকে। দু’জনের সম্পর্ক ক্রমে আরও গভীর হতে শুরু করে।

আমিশাকে পাগলের মতো ভালবাসার কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বিক্রম। আমিশা বা বিক্রম দু’জনেই তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে খুব খোলামেলা কথা বলতেন। ‘আমিশা কেরিয়ারের জন্য দৌঁড়চ্ছে, আর আমি ওর জন্য’, বিক্রম নিজেই স্বীকার করেছিলেন। পাঁচ বছর তারা একসঙ্গে ছিলেন।

কিন্তু সেই সম্পর্কও টেকেনি। দু’জনের ব্রেক-আপ হয়। পরে বিক্রম জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নাকি কোনও ভালবাসাই ছিল না। ভাল বন্ধুত্বটাকে ভালবাসা বলে নাকি দু’জনেই ভুল করেছিলেন। পরে সেই ভুল বুঝতে পেরেই তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts