মোঃ রাসেল হোসেন, ধামরাই: ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বাবনহাটি গ্রামে মাদক বিক্রি ও সেবনে বাধা দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ ঘর বাড়ি, খড়ের পালাতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকা বাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করেছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বাবনহাটি গ্রামবাসী ধামরাইয়ের কালামপুর-সাটুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে দুই হাত উঁচিয়ে প্রতিবাদ জানান। এলাকাবাসী জোর দাবি করে বলেন, আমরা চাই, আমাদের গ্রামটি যেন মাদকমুক্ত থাকে।
এ বিষয়ে বাবনহাটি গ্রামের সাবেক শিক্ষক আব্দুল লতিফ বলেন, মাদকসেবিরা আমার ঘরে ও খড়ের পালায় দুইবার আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।
তিনি বলেন, এই গ্রামের দাড়গ আলীর দুই ছেলে ফজলুল হক ওরফে টেপা মজনু (৩০) ও আব্দুর রহিম ওরফে ক্যাডার রহিম, একই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জামাল (২৬), কুশু আলীর ছেলে আনিছ (২৪) এবং ওই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে সোহেল (২৬) এরা মাদকে জড়িত। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাদক বিক্রেতা সোহেলকে তার নিজ বাড়ি থেকে ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ। বর্তমানে জেল হাজতে আছে।
আব্দুল লতিফ আরও বলেন, সোহেলের নেতৃত্বে পরপর দুইবার আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। সে বর্তমানে জেল হাজতে আছে। এখন বাকী মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের কারণে এলাকাবাসীরা সব সময় আতংকে থাকে।
বাবনহাটি গ্রামের মাতব্বর দলিলুদ্দিন ওরফে দয়াল বলেন, মজনু, সোহেল, জামান, রহিম এরা সকলেই মাদকসেবী। এদের কারণে আমরা আতংকে থাকি। আমাদের বাড়ি ঘর, খড়ের পালা ও দোকানে একাধিক বার আগুন দিয়েছে। আমরা এসব মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের শাস্তির দাবি জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আমি মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় মজনুসহ বাকি মাদকসেবীরা আমার বাড়িতে ও দোকানে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। এখন আমি ভয়ে আছি, আরও যদি বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
এ বিষয়ে বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন বলেন, আজকের সভার বিষয়ে আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে আমি জেনে ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহা বলেন, আজ বাবনহাটি গ্রামে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা হয়েছে এটি আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই। তবে মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।