বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষক পদে গেজেটে অন্তর্ভূক্ত না হওয়ায় বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।
উক্ত মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৬ হাজার প্রধান শিক্ষক গেজেট ভুক্ত হতে পারছেন না ৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়ের জন্য প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হওয়ার কথা ২৬১৯৩টি থাকলেও বাস্তবে মাত্র প্রায় ১৮ হাজার গেজেটে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ৷ বাকী শিক্ষকদের ব্যাপারে ২০১৩ সাল থেকে আশ্বাসের পরও আজ পর্যন্ত গেজেটর্ভূক্ত না করে অন্যায় ভাবে সকল যোগ্যতা থাকার পরও প্রধান শিক্ষক না করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেট ভুক্ত করা হয় ৷
বাদপড়া বঞ্চিত শিক্ষকগন প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরে পেতে বাধ্য হয়ে মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই এবং শাহজামাল গং ১৪৩৪৪/১৭ নং রিট পিটিশন মামলাসহ প্রায় ৫০০টি রিটপিটিশন দায়ের করি ৷
মহামান্য হাইকোর্ট এই রিট পিটিশন মামলায়, “রিট প্রদানকারি শিক্ষকগন অবসর গ্রহনকালীন পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে কর্মরত থাকবেন” মর্মে আদেশ প্রদান করেন ৷ শত শত মামলা হবার পর গত ২৫ অক্টোবর ২০১৮ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সচিব বরাবর কিছু কাগজপত্রসহ একটি ফাইল প্রেরণ করেন ৷ অজ্ঞাত কারনে সচিব মহোদয় এখনো ফাইল আটকে রেখেছেন বলে মানববন্ধনে শিক্ষকগণ জানান ৷
শিক্ষকগণ আরো বলেন প্রধান শিক্ষক পদে বঞ্চিত হওয়ার কারনে প্রাপ্য বেতন থেকে বঞ্চিত হচ্ছি একইভাবে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে ৷ বিদ্যালয় পরিচালনায় নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় কর্মরত পদবঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের দ্রুত গেজেটভূক্তি ও সহকারী শিক্ষকদের গ্রেডেশনসহ সকল ক্ষেত্রে ৫০% কার্যকর চাকুরীকাল গননা করে পদোন্নতি, টাইম স্কেলসহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির জোর দাবী জানান ৷
মানববন্ধনে বঞ্চিত প্রধান শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন এসএম আব্দুল গফুর, মীর মোঃ গিয়াস উদ্দিন, আলহাজ্ব কে এম মনির প্রমুখ ৷