বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বুয়েট প্রশাসন চাইলে সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে পুরোপুরি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে তিনি। পুরোপুরি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করলে পরবর্তী নেতৃত্ব কোত্থেকে গড়ে উঠবে, এমন প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
বুধবার বিকেলে গণভবনে সম্প্রতি জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান ও ভারতের দিল্লি সফরের অর্জন ও সফলতা তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন একটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে, অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তো ছাত্র সংগঠন নিষিদ্ধ আছে। বুয়েট যদি মনে করে তারা সেটি নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। সেটা তাদের বিষয়। কিন্তু একেবারে ছাত্ররাজনীতি ব্যান করে দিতে হবে এটা তো মিলিটারি ডিক্টেটরদের কথা। পলিটিক্স ব্যান, স্টুডেন্ট পলিটিক্স ব্যান এগুলো তো তারাই করে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশের নেতৃত্ব কিন্তু উঠে এসেছে স্টুডেন্ট পলিটিক্স থেকেই।
নিজের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি দেশের সব দিকে নজর দিয়ে কেন কাজ করি? আমি ছাত্র রাজনীতি করেই কিন্তু এখানে এসছি। দেশের ভালোমন্দের চিন্তা ওই ছাত্র জীবন থেকেই আছে বলেই আমরা দেশের জন্য কাজ করতে পারি।
ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন নয় সহযোগী সংগঠন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের গঠনতন্ত্র আপনারা দেখবেন কোন কোন দল আমাদের সহযোগী সংগঠন তার একটি তালিকা আছে। কিন্তু অঙ্গসংগঠন বলে কিন্তু কোনটা নাই। ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন না, ছাত্রলীগ সম্পূর্ণ আলাদা একটি সংগঠন; সেভাবেই কিন্তু আছে। এখন ছাত্র রাজনীতি ব্যানের কথা বলেন। এদেশের সকল সংগ্রামের মূখ্য ভূমিকা কিন্তু ছাত্ররাই নিয়েছে।
ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের জন্ম আওয়ামী লীগের আগে। ভাষা আন্দোলনের সময় যখন জাতির পিতা দেখলেন আমাদের ছাত্র সংগঠন প্রয়োজন, তখন তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করলেন। সেসময় ছাত্রলীগসহ যে সংগঠনগুলো ছিলো সেগুলোকে একত্রিত করে ভাষা আন্দোলন সংঘটিত হয়। ছাত্রলীগ সবসময় একটা আলাদা স্বাধীন সংগঠন হিসেবেই ছিল। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বাদে অন্য দলগুলোর ছাত্র সংগঠন আলাদা। শুধু কমিউনিস্ট পার্টির ছাত্র সংগঠনই অঙ্গসংগঠন। তবে আলাদা হলেও মূল দল হিসেবে আমাদের তাদের দিক-নির্দশনা দিতে হয়। এটা নীতি আদর্শের ব্যাপার।