আহমেদ সাব্বির রোমিও: নাটক, সিনেমায় মূখ্য চরিত্র গুলোকে প্রাণবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য পার্শ্বচরিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। মূলত পার্শ্বচরিত্রের সহযোগিতার কারণেই মূখ্য চরিত্রগুলো শক্তিশালী হয়ে দর্শকদের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তুু এই পার্শ্বচরিত্রের অভিনয় শিল্পীরাই সবচাইতে অবহেলিত থাকেন! এমনও হয় স্যুটিং শেষে রাত বেশী হলে বাড়ি ফেরার জন্য অনেক সময় ইউনিটের গাড়িতে তাদের জায়গা হয়না। নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিয়ে নিজ দায়িত্বে বাড়ি ফিরতে হয়। বলছিলেন এ সময়ের মডেল ও অভিনেত্রী রানী।
আক্ষেপ করে রানী আরো বলেন, সারা দিনের স্যুটিং শেষে অনেক সময় দেখা যায় সম্মানীটাও দেওয়া হয় না। বলা হয় বিকাশ নাম্বারটা দিয়ে যাও পরে পাঠিয়ে দিবে। স্যুটিং লোকেশনে থাকার, খাবার পরিবেশনেও বৈষম্য দেখা যায়।
ময়মনসিংহের মেয়ে রানী ঢাকায় এসেছিলেন চলচ্চিত্রের রঙিন জগতের “রানী” হবার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তুু রানী”র “চলচ্চিত্রের রানী ” হবার স্বপ্নটা যেন স্বপ্নই থেকে গেলো! মিডিয়া প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার কারণে এখনো লেগে আছেন মিডিয়ার পিছনে। মনের সাথে যুদ্ধো করে অভিনয় করে চলেছেন তিনি। বড়ো পর্দায় নায়িকা হবার স্বপ্ন পূরণ না হলেও স্বপ্ন দেখেন একজন সফল অভিনেত্রী হবার।
রানী গত তিন বছরে প্রায় ২০০ মতো শর্ট ফিল্ম এ অভিনয় করেছেন। খন্ড নাটক করেছেন ২০টির মতো। ক্যামেরার সামনে প্রথম আছেন একটি মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে।মিডিয়ার শুরুতে অনেক কস্ট করতে হয়েছে তাকে। অনেক কাজেই ” কথা কাজের ” মিল পাননি তিনি। তারপরও লেগেছিলেন, অনেক সংগ্রাম করে এখনো টিকে আছেন। ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করে রানী এখন মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। হোক না সেটা শর্ট ফিল্ম বা খন্ড নাটক !
রানী তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে এগিয়ে যেতে চান অনেক দূর। মিডিয়ায় একজন সফল অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান নিজেকে। স্বপ্ন দেখেন ভালো অভিনেত্রী হবার।