দ্রুত বিচারের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ, মা রোকেয়া খাতুন, ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ সাব্বিরসহ পরিবারের সদস্যরা সোমবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী তার নির্দেশের কথা তাদেরকে জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের সময় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন ও তার পাশের চেয়ারে বসে তাকে সান্ত্বনা দেন।
রোকেয়া খাতুন প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, “আপনি মায়ের আসনে থেকে ঘটনার পর যে ভূমিকা নিয়েছেন সেজন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”
জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। আমি দেখতে চাইনি কে কার লোক। আপরাধী কে বা কোন দল করে সেটা বিবেচনা করিনি।
বুয়েট ছাত্রলীগের এক দল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে গত ৬ অক্টোবর প্রাণ হারান তড়িৎ কৌশল বিভাগের ছাত্র আবরার। এই হত্যাকাণ্ডের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল এখন বুয়েট। ছাত্রলীগ ইতোমধ্যে ১১ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
১০ দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুক্রবার আলোচনায় বসে বুয়েটে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, আসামিদের বহিষ্কার করাসহ বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম।
ঘটনার পর পরই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা ফুটেজ সংগ্রহে কেন বাধা দিয়েছিল সেটা বোধগম্য নয় বলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন বলে জানান প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
প্রধানমন্ত্রী আবরারের মাকে বলেন, “আপনাকে সান্ত্বনা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। শুধু বলব আমাকে দেখেন, স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। আমিও এক রাতে সব হারিয়েছিলাম। আমি তখন বিচারও পাইনি।”
আবারারকে হত্যাকারীরা অমানুষ হয়ে গেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সময় আবরারের মা রোকেয়া খাতুন, বাবা বরকতউল্লাহ প্রশাসন, পুলিশ ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।