বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শপথবাক্য পাঠ করান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিজওয়ানা।
বুধবার শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষকও অংশ নেন। তবে দর্শকসারিতে থাকা অন্য শিক্ষকরা শপথ নেননি।
বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে গণশপথ গ্রহণ করার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে অনুষ্ঠান হয় বুয়েট অডিটোরিয়ামে।
শপথবাক্যে তারা বলেন, ”এ বিশ্বববিদ্যালয় সকল প্রকার সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থানকে আমরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেব।”
শপথ নেওয়ার জন্য আজ বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা মিলনায়তনে জড়ো হতে থাকেন। বেলা সোয়া ১টার দিকে শপথ অনুষ্ঠান হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে গণশপথ গ্রহণ করার কথা থাকলেও বৈরি আবহাওয়ার কারণে স্থান পরিবর্তন করে অনুষ্ঠান হয় বুয়েট অডিটোরিয়ামে।
শপথে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান সম্মিলিতভাবে রুখে দেবেন। এ ছাড়াও নৈতিকতার সঙ্গে ও সামঞ্জস্যপূর্ণ সব ধরনের বৈষম্যমূলক অপসংস্কৃতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার তারা সমূলে উৎপাটিত করবেন।
শপথে আরও বলা হয়, বুয়েট প্রাঙ্গণে আর যেন নিষ্পাপ কোনো প্রাণ ঝরে না যায়, আর যাতে কেউ অত্যাচারিত না হন, সেটা সবাই মিলে নিশ্চিত করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের জ্ঞাতসারে হওয়া প্রতিটি অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাই সর্বদা সোচ্চার থাকবেন। এই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার কল্যাণ ও নিরাপত্তার জন্য তাদের ওপর অর্পিত নৈতিক, মানবিকসহ সব প্রকার দায়িত্ব সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।
অনুষ্ঠানে আবরার ফাহাদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শপথ গ্রহণের মধ্যে দিয়ে মাঠের আন্দোলনে ‘আপাতত’ ইতি টানার কথা মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্লাসে ফিরবে, তাও জানিয়েছিলেন।
বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে গত ৬ অগাস্ট রাতে তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে নেমে ১০ দফা দাবি তোলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।