জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম আটিগ্রাম এলাকায় আব্দুস ছালাম নামে এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত চান্দু মুন্সীর ছেলে ওসমান আলী খানের বিরুদ্ধে। পরে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পশ্চিম আটিগ্রাম এলাকার আটিগ্রাম মৌজার আরএস ২৬৭৭ ও ২৬৭৮ দাগে ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে ২০ শতাংশ জমির ভোগ দখলে রয়েছে আব্দুস ছালাম। একই মৌজার একই দাগ নাম্বারে ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ওসমান আলী খানের স্ত্রী। এরপর ওই জমির একপাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় জমির পরিমাণ কমে আসলেও ৩৪ শতাংশ জমির দখলে যেতে চায় ওসমান আলী খান। বিষয়টি নিয়ে আব্দুস ছালাম ও ওসমান আলী খানের মধ্যে মামলাও চলমান রয়েছে। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার দুপুরে ওসমান আলী খান তার দলবল নিয়ে জমি দখলের উদ্দেশ্য নিয়ে ছালামের বাঁশ ঝাড় কাটতে শুরু করে এবং ড্রেজার দিয়ে মাটি ভরাট করতে থাকে। পরে ছালাম মিয়া বিষয়টি লিখিতভাবে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে আব্দুস ছালাম জানান, তার বাড়ির পাশে তার পিতা তারা মিয়া পাশ্র্ববর্তী চর বিরাট এলাকার আক্কাছ আলীর নিকট থেকে ২০ শতাংশ জমি করেন প্রায় ৩০ বছর আগে। এর পর থেকে তিনি ওই জমির দখলে রয়েছেন। একই মালিকের নিকট থেকে একই দাগ নাম্বারে ৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ওসমান আলী খানের স্ত্রী। তবে জমির এক পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণে পর মোট জমির পরিমাণ কমে আসলেও ওসমান আলী খান ৩৪ শতাংশ জমির দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীণ রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ওসমান আলী খান ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলাম জানান, আটিগ্রাম এলাকার ওই জমিটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারধীন রয়েছে। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে তদন্ত শেষে উভয় পক্ষকে জমিতে অনধিকার প্রবেশে মৌখিকভাবে নিষেধ করে আসা হয়। আর বাঁশ ঝাড় থেকে কেটে নেওয়া বাঁশগুলো একত্রিত করে রাখা হয়। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও অবহিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।