জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, সরকার ঘোষিত সময়ের আগেই মানিকগঞ্জে শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত হবে। আর এই লক্ষ্য অর্জনে জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভিাগের কর্মকর্তার কাজ করছেন।
মাসব্যাপী জাতীয় স্যানিটেশন ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালে মধ্যে দেশের প্রত্যেক ঘরে ঘরে নিরাপদ স্যানিটেশন গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে স্টিয়ারিং কমিটি, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাস্ক ফোর্স এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ওয়াটসন কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন কি না- তা মনিটর করতে তিনি সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন। একইসাথে তিনি, স্যানিটেশন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরীতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জের সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে ২০২০ সালের মধ্যেই মানিকগঞ্জের স্যানিটেশন কাভারেজ ১০০ শতাংশে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফৌজিয়া খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ফাতিমা ফেরদৌস, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা, আরডিসি সৈয়দা সামিরা, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জোসনা খাতুন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, মানিকগঞ্জ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ও এসকে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সভার শুরুতে, স্বাগত বক্তব্যে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গাজী ফাতিমা ফেরদৌস বলেন, ২০০৩ সালে সর্বশেষ বেজলাইন জরিপ অনুযায়ী মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৩১৮টি পরিবার, যা মোট পরিবারের ৩৩ শতাংশ। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৯৬. ২৯ শতাংশ। এর মধ্যে সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ সদর ও ঘিওর উপজেলায় ১০০ শতাংশ, শিবালয় উপজেলায় ৯৮.৩৭ শতাংশ, সিংগাইর উপজেলায় ৯৭.৪০ শতাংশ, হরিরামপুর উপজেলায় ৯২.১৯ শতাংশ এবং দৌলতপুর উপজেলায় উন্নীত হয়েছে ৮৭.০৯ শতাংশে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের হয়ে তা জেলা শহরের শহীদ রফিক সড়কে প্রদক্ষিণ করে। এতে অংশ নেন বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।