বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে আত্মীয়, পরিবার বা দলের নেতা কেউ ছাড় পাবে না বলেও তিনি জানিয়েছেন।
রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। যুবলীগের কংগ্রেসকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে যুবলীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি যুবলীগ নেতাদের উদ্দেশে আরও বলেন, ক্যাসিনোর বিষয়ে তোমরা এত দিন আমাকে জানাওনি কেন? তোমরা তো আমার এখানে এসেছ, কথা হয়েছে। তোমরা না জানালেও এসব আমি জানতাম। আমার আত্মীয় হোক, পরিবারের লোক হোক আর দলের লোক হোক এসব ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত কেউ ছাড় পাবে না। আমি এসব সহ্য করবো না। যে অভিযান চলছে এটা চলমান থাকবে। আত্মীয় আর দলের কোনো নেতা যেই হোক ব্যবস্থা নেওয়া থেকে কেউ বাদ যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা এত কষ্ট করে উন্নয়ন করছি, দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে সেসব কাজ। আর সেই অর্জন কেউ নষ্ট করে দেবে সেটা হতে দেব না, তাদের ক্ষমা করা হবে না। অসৎ পথে উপার্জন এটা সম্মানের না। এর অবসান ঘটাতে হবে।
সুত্র আরও জানায়, বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুবলীগ করার বয়সসীমা ৫৫ বছর করার নির্দেশ দেন। এ সময় যুবলীগের নেতাদের কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন এটা বাড়ানো যায় কি না। বর্তমানে প্রেসিডিয়ামের অনেকের বয়স ৫৫ বছরের উপর।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুবলীগে যদি বয়সী যুবকরা না থাকে তাহলে সেটা কেমন হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা বলেন, যুবকরাই যুবলীগ করবে। কেন্দ্র থেকে জেলায় জেলায় আমরা তরুণ নেতৃত্ব চাই।
সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সনম্পাদক হারুনুর রশিদকে সদস্য সচিব করে কংগ্রেস প্রস্তুতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য এই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য থাকবেন। তবে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সুত্র জানায়, এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যে কমিটি করা হলো এই কমিটি কংগ্রেসের প্রস্তুতির জন্য কাজ করবে। তবে এই কমিটিতে যেন বিতর্কিত কেউ না আসতে পারে। আহ্বায়ক কমিটিতে বিতর্কিতরা থাকতে পারবে না। তাদেরকে নেওয়া যাবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তারা কেউ যেন কমিটিতে থাকতে না পারে।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর এবং যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।