বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গত শনিবার দি থাইরয়েড সেন্টার লি. ও বিটমির ক্যাম্পাসে সার্টিফিকেট অ্যাওয়ার্ডিং ও অধ্যাপক ডাঃ এ.কে.এম ফজলুল বারী সম্পাদিত আল্ট্রাসাউন্ড এন্ড কালার ডপলার ইন মেডিকেল সাইন্স বইটির ৩য় সংস্করনের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়্যারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার মেডিসিনের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এম এ করীম, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের মেম্বার (বায়ো সাইন্স) অধ্যাপক ডাঃ মো: সানোয়ার হোসেন, ওজিএসবির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডাঃ সালেহা বেগম চৌধুরি, বাংলাদেশ সোসাইটি অব আল্ট্রাসনোগ্রাফির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডাঃ মিজানুল হাসান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটমিরের চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব্ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এ্যান্ড অ্যালায়েড সাইন্সের অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম ফজলুল বারী।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশের প্রথম টেক্সট বই আল্ট্রাসাউন্ড এ্যান্ড কালার ডপলার ইন মেডিকেল সাইন্স এর তৃতীয় সংস্করনের মোড়ক উন্মোচন করেন এবং বইয়ের এডিটর অধ্যাপক ডাঃ এ.কে.এম. ফজলুল বারীকে যুগোপযুগী বই লেখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে অত্যন্ত সুনিপুনভাবে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করা এবং নির্ভূল রিপোর্ট প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ গাইনী এ্যান্ড অব্স সোসাইটির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক সালেহা বেগম চৌধুরী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে বিশেষ করে প্রসুতি মায়েদের আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ ব্যাপারে বিটমির এর অবদান সর্বজন স্বীকৃত আখ্যায়িত করেন।
পরমানু শক্তি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিজন চিকিৎসকের আল্ট্রাসাউন্ড শেখা অত্যন্ত জরুরী এবং আল্ট্রাসনোগ্রাম শিক্ষায় বিটমিরের কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ডাঃ মিজানুল হাসান জানান, বিটমিরই হচ্ছে বাংলাদেশ আল্ট্রাসাউন্ড সোসাইটি কর্তৃক স্বীকৃত প্রথম প্রতিষ্ঠান।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন “আল্ট্রাসাউন্ড এন্ড কালার ডপলার ইন মেডিকেল সাইন্স” বইটির কনট্রিবিউটর অধ্যাপক ডাঃ নাসরীন সুলতানা, ডাঃ এ. কে. এম জহির আহমেদ এবং ডাঃ মোহিত-উল-আলম।
বিটমির এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান এবং বই এর লেখক অধ্যাপক ডাঃ এ. কে. এম ফজলুল বারি বলেন, বিটমির থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার চিকিৎসক সফলতার সাথে আল্ট্রাসাউন্ডের বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে দেশে ও বিদেশে সম্মানের সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান বিটমিরই বাংলাদেশে এ্যাডভান্স ডিপ্লোমা (এ.ডি.এম.ইউ) এর সাথে এম. এস. সি ইন মেডিকেল ইমেজিং কোর্স চালু করেছে।
বাংলাদেশী চিকিৎসকদের আল্ট্রাসাউন্ড এর আধুনিক পদ্ধতি কালার ডপলার আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ফোরডি আল্ট্রাসনোগ্রফি, ইলাস্ট্রোগ্রাফি, এম.এস.কে, আল্ট্রাসাউন্ড এর প্রশিক্ষনের জন্য বিদেশে যাবার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে বিটমিরে এই সকল প্রশিক্ষন গ্রহনের সুযোগ রয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে আরো জানান আল্ট্রাসাউন্ড এর লিখিত বইটি প্রতিজন চিকিৎসকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিটমির তার নিজ উদ্যোগে গত ২০১৭ সাল হতে বিটমির ন্যাশন্যাল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে আসছে। ২০১৭ সালে প্রসবজনিত মাতৃ মৃত্যুহার কমাতে বিশেষ পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য অধ্যাপক সায়েবা আক্তারকে এবং ২০১৮ সালে আল্ট্রাসাউন্ড জগতে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ফৌজিয়া মোসলেমকে বিটমির ন্যাশন্যাল অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বরাবরের ন্যায় এ বছরেও বাংলাদেশে আল্ট্রাসনোগ্রাম এর উন্নয়ন ও এর আন্তর্জাতিক করনে বিশেষ অবদানের জন্য অধ্যাপক ডাঃ এম এ করীমকে বিটমির ন্যাশন্যাল অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ প্রদান করা হয়।
বিটমির প্রতি শুক্র, শনি এবং মঙ্গলবার বিনামূল্যে ১০০ জন রোগীকে সেবা প্রদান করে থাকে। পরিশেষে সভাপতি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিবৃন্দ এবং সনদপ্রাপ্ত সকল চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠান শেষ করেন।